1. newstatini@gmail.com : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. admin@newstatini.com : unikbd :
মঙ্গলবার, ২৮শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১২ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
৫ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

এবার বন্যার্তদের সহায়তায় গিয়ে ভেসে গেলেন দুই সেনা

  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪

  দক্ষিণ ত্রিপুরার বন্যা কবলিত মানুষকে সহায়তা গিয়ে পানিতে ভেসে গিয়ে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের (টিএসআর) দুই সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। আশিশ বোস নামের এক সেনা দক্ষিণ ত্রিপুরার বেলোনিয়ায় পানির স্রোতে ভেসে যান। অপরদিকে শুক্রবার চিরঞ্জিত দেব নামের অপর এক সেনা তিনজনকে বাঁচাতে গিয়ে ইন্দ্রনগর এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে যান।

এদিকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এই দুই সেনার মৃত্যুর মাধ্যমে ভারতের এ রাজ্যটিতে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ২৬ জনে পৌঁছেছে। বন্যায় ত্রিপুরায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্মরণকালের এই ভয়াবহ বন্যা থেকে বাদ যায়নি রাজ্যটির কৃষি জমিও। রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিক হিসেবে কৃষিখাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৫৩২ দশমিক ২৫ কোটি রুপি।

ত্রিপুরার বন্যায় সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যেসব এলাকা তার মধ্যে অন্যতম গোমতী জেলা। এই জেলার বাসিন্দা আয়ুব সরকার বলেছেন, “বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটা পর্যন্ত লাগাতার ৩৮ ঘণ্টা বৃষ্টি হয়েছে এখানে। সেই পানি তো ছিলই। তারপরে ডম্বুর বাঁধের পানি ঢুকতে শুরু করে। আবার জেলার কিছু অংশে মিজোরামের দিক থেকেও পানি চলে এসেছিল”।

“সব মিলিয়ে যে অবস্থা তা ভয়াবহ। মাত্র দুঘণ্টার মধ্যে আমাদের ঘরে চার ফুট জল জমে গিয়েছিল। রাত্রিবেলা বাধ্য হয়েই সবাইকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে হয়। “নানা সময়ে আমিই এগিয়ে যেতাম মানুষজনকে রেসকিউ করতে, এবার আমি নিজেই ভিক্টিম,” বলছিলেন আয়ুব সরকার।

এদিকে ত্রিপুরায় সবথেকে ভয়াবহ বন্যা তারা দেখেছেন ১৯৮৩ সালে। তবে এ বছরের বন্যা তাকে ছাড়িয়ে গেছে। দশ বছর পরে ১৯৯৩ সালেও বন্যা হয়েছিল। সূত্র: দ্য স্টেটসম্যান

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD