1. newstatini@gmail.com : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. admin@newstatini.com : unikbd :
শনিবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১২ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
৬ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ
এবার মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে নিহত ৮ বড়দিনে শান্তি আসুক দেশে : জয়া  আসন সমঝোতায় শেষ মুহূর্তের জটিলতা: জামায়াত–ইসলামী আন্দোলনসহ আট দলে টানাপোড়েন তারেক রহমান সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী, বিবিসি-রয়টার্স-নিউ ইয়র্ক টাইমস-আল জাজিরার প্রতিবেদন লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার ঘরে আগুন: দগ্ধ আরেক মেয়ের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু এবার তারেক রহমানের পোষা বিড়াল ‘জেবু’র অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ চালু সিলেটে যাত্রাবিরতির পর ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন তারেক রহমান ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন তারেক রহমান ৫০ কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ, ‘জুলাইযোদ্ধা’ সুরভী গ্রেপ্তার ‘দেশকে অস্থিতিশীল করতে চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে কুচক্রী মহল’

অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলকনির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে চাই : প্রধান উপদেষ্টা

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

এবার   ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে জানিয়েছেন তাঁর সরকার চেষ্টা করছে চলমান রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ যাতে টেকসই হয় তা নিশ্চিত করতে। একই সঙ্গে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যেও কাজ করে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

তিনি বলেন, “গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সমতা ও সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক সমাজ হিসেবে আত্মপ্রকাশের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে আমি বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতা ব্যাপকতর ও গভীরতর করার আহ্বান জানাই।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এরকমই এক অবস্থায় দেশকে পুনর্গঠন এবং জনগণের কাঙ্ক্ষিত রাষ্ট্রব্যবস্থা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আমাদের উপর দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। অতীতের ভুলগুলোকে সংশোধন করে একটি প্রতিযোগিতামূলক ও শক্তিশালী অর্থনীতি এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলাই এই মুহূর্তে আমাদের মূল লক্ষ্য।”

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্বের সামনে তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, “বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, সকল রাজনৈতিক দল এখন স্বাধীনভাবে তাঁদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে। যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় কাজ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত, তাঁদের প্রত্যেকের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার।”

“আমরা মানুষের মৌলিক অধিকারকে সমুন্নত ও সুরক্ষিত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের দেশের মানুষ মুক্তভাবে কথা বলবে, ভয়-ভীতি ছাড়া সমাবেশ করবে, তাঁদের পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে – এটাই আমাদের লক্ষ্য। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংরক্ষণ এবং সাইবার ডোমেনসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুসংহতকরণেও আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”

অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন,  “আমাদের একজন কৃষক বা শ্রমিকের সন্তানও যেন সমাজের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছতে পারে, সেই লক্ষ্যে বিশালাকার অবকাঠামো নির্মানের বদলে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির উপর আমরা গুরুত্ব আরোপ করছি। রাষ্ট্রব্যবস্থার সকল পর্যায়ে সুশাসন ফিরিয়ে আনাই আমাদের অভীষ্ট।”

তিনি জানান, বাংলাদেশ যে সব আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তির পক্ষভুক্ত, সেগুলো প্রতিপালনে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। জাতিসংঘসহ বহুপাক্ষিক বিশ্বকাঠামোতে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও অবদান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, মর্যাদা ও স্বার্থ সংরক্ষণের ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী তাঁর সরকার।

দেশে চলমান সংস্কার কর্মসূচীর কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, “মাত্র সাত সপ্তাহের মধ্যে আমাদের সরকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বাংলাদেশের গণআন্দোলন কালে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বিস্তৃত অনুসন্ধান এবং এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে পরামর্শ প্রদানের জন্য একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন গঠন এবং তার কাজ শুরু করার জন্য দ্রুত বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন। আমি তাঁকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

“দায়িত্বভার গ্রহণের দুই সপ্তাহের মধ্যে আমরা গুম প্রতিরোধে যে আন্তর্জাতিক কনভেনশন রয়েছে, তাতে যোগদান করেছি। এর আশু বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় দেশীয় আইন ও বিধি প্রণয়ন বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশে বিগত দেড় দশকে যেসকল গুমের অভিযোগ রয়েছে, সেগুলো তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিশন এ মুহুর্তে কাজ করছে। মানুষের আস্থা ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে এবং নির্মম অতীত যেন আর ফিরে না আসে, সেজন্য আমরা কিছু সুনির্দিষ্ট খাতে সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সেই লক্ষ্যে আমরা বিদ্যমান নির্বাচন ব্যবস্থা, সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা সংস্কারে স্বাধীন কমিশন গঠন করেছি। সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমের সংস্কারের জন্যও পৃথক কমিশনসহ আরো কয়েকটি বিষয়ে কমিশন গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ব্যাপক সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো বিদেশি ব্যবসা বা বিনিয়োগ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতেও সরকার বদ্ধপরিকর।

 

 

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD