নিহত শিক্ষার্থীর নাম আরাফাত রহমান (১৭); তিনি উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
সহপাঠীরা বলছেন, সোমবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরাফাতের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে; বাবা আব্দুল্লাহ আল মামুন চট্টগ্রাম বন্দরে চাকরি করেন।
সহপাঠীদের সঙ্গে কমলাপুরের জসীমউদ্দীন রোডের একটি আটতলা ভবনের দোতলায় মেস করে থাকতেন আরাফাত। সেখানে থেকেই লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
সোমবার সন্ধ্যায় আরাফাতের রুমমেট রিমন চৌধুরী বলেন, “একটা ফ্ল্যাটে আমরা তিন বন্ধু মেস করে থাকি। আজ সন্ধ্যার দিকে আরাফাতের রুম বন্ধ দেখে ডেকেছিলাম; সাড়াশব্দ ছিল না। কিছু সময় পর আবারও ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ পাইনি।
“পরে ভবনের কেয়ারটেকারের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে দেখি ফ্যানের সঙ্গে বিছানার চাদর দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ইসলামিয়া হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
সহপাঠীদের ধারণা, আরাফাত আত্মহত্যা করেছেন, তবে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারেননি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, আরাফাতের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার দুপুরে নটরডেম কলেজের ভেতরে ভবন থেকে পড়ে ধ্রুবব্রত দাস (১৮) নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তার সহপাঠীরা।
ধ্রুবব্রত এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন, প্রবেশপত্র সংগ্রহের জন্য বাবার সঙ্গে দুপুরে কলেজে যান তিনি।