1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
৫ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

গাবতলীর হাট মাতাচ্ছে ‘লায়লা-মামুন, আছে ডোনাল্ড ট্রাম্পও!

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫

দেশের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী কোরবানির পশুর হাট গাবতলীতে ইতোমধ্যে জমে উঠেছে কোরবানির প্রস্তুতি। রাজধানীর এই হাটে সোমবার পর্যন্ত এসেছে আট হাজারেরও বেশি পশু। এখনও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাক ও পিকআপযোগে পশু আসছে নিয়মিত। তবে পশু থাকলেও এখন পর্যন্ত ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যাই বেশি। দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী কিছু পশু।

 

 

গোলাপি রঙের একটি মহিষকে ঘিরে তৈরি হয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী আলোচনার ঝড়। দর্শনার্থীরা একে নাম দিয়েছেন ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প’, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের নামানুসারে। তবে বিক্রেতার ভাষ্য ভিন্ন – এটি একটি সাধারণ মহিষ, যাকে তারা ছোটবেলা থেকে লালন-পালন করেছেন। তবে পশুর ব্যতিক্রম রঙ ও গঠনই একে করেছে দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
বিক্রেতা বলেন, “এটা মস (মহিষ)। পিঙ্ক কালারের মধ্যে সাদা, প্রায় আমেরিকানদের মতো। ডায়াবেটিস রোগীরা গরুর মাংস না খেয়ে মহিষের মাংস খেতে আগ্রহী, তাই চাহিদাও বেশি।”

 

প্রতিবারের মতো এবারও গাবতলীর হাটে উঠেছে একটি রাজকীয় উট। ভারতের রাজস্থান থেকে আনা ১০ ফুট লম্বা এই উটটির দাম চাওয়া হচ্ছে ৩০ লাখ টাকা। কেউ কেউ একে তুলনা করছেন টিকটকার ‘প্রিন্স মামুন’-এর সঙ্গে, যদিও বিক্রেতা জানান উটটির নাম ‘জামাল’ এবং এটি একমাত্র পাওয়া গেছে এ বছর।
বিক্রেতার দাবি, “এমন উট আর দ্বিতীয়টি নেই। নামাজে যেমন দাড়ি থাকে, ওরও আছে। প্রথমবার পেয়েছি এমন সুন্দর উট।”

 

 

হাটে এবার দুম্বার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হলেও দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে ‘লায়লা’ নামের একটি দুম্বা। প্রতিবারই এমন ব্যতিক্রমী নাম ও আকৃতির পশু মানুষকে চমকে দেয়।

 

যশোরের বেনাপোল থেকে আসা এক বিক্রেতা এনেছেন বিশাল সিংওয়ালা ইন্ডিয়ান জাতের গরু। তার দাবি, “এই জাতের গরু বাংলাদেশে আমাদের ফার্ম ছাড়া আর কোথাও নেই।”
এই বিশেষ জাতের গরুগুলোর সিং অনেক বড় এবং আকর্ষণীয় হওয়ায় দর্শনার্থীরা হাটের শুরুতেই থেমে যাচ্ছেন এসব গরু দেখার জন্য।

 

পশু কিনতে আসা অনেক ক্রেতাই জানিয়েছেন, তারা গরুর রং ও চেহারার সৌন্দর্য দেখে কিনছেন, কারণ এটা আল্লাহর জন্য নিবেদিত একটি কোরবানি। একজন ক্রেতা বলেন, “যেহেতু এটা আল্লাহর জন্য দিচ্ছি, তাই চেষ্টা করেছি সুন্দর একটা পশু দিতে। এটা একটা উপহার, তাই সুন্দর হওয়া উচিত।”যদিও হাটে পশুর সরবরাহ পর্যাপ্ত, তবুও দাম এখনো স্থিতিশীল। অনেকে বলছেন, কোরবানির পশুর চাহিদা এবং বাজার পরিস্থিতি অনুসারে দাম এখনো হাতের নাগালে আছে। বিশেষ করে বড় গরু বা ব্যতিক্রমী পশুগুলোর দাম একটু বেশি হলেও সাধারণ পশুগুলোতে এখনো ক্রেতার নাগালের মধ্যেই রয়েছে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD