পরে ওই তিনজনকে উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টরে ফেলে রেখে যায় ছিনতাইকারীরা। একজন কর্মী, ওমর হোসেন, আরেকটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন, যাতে ছিল প্রায় এক লাখ টাকা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মহিদুল ইসলাম জানান, নগদের স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটর আব্দুল খালেক নয়নের বাসা থেকে প্রায় পাঁচ মিনিট হাঁটার দূরত্বেই রয়েছে অফিসটি। বন্ধের দিনে এত ভোরে বাসা থেকে এত টাকা অফিসে নেওয়া ও একটি মোটরসাইকেলে পুরো টাকা বহনের বিষয়টি সন্দেহজনক।
তিনি বলেন, `ঘটনার প্রকৃতি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, ছিনতাইকারীরা আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল। ভেতরের কারো সহযোগিতার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।`
ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং গাড়ির নম্বর ট্র্যাক করার কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার না হলেও নগদের পক্ষ থেকে পাঠানো চার কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ডিসি মহিদুল আরও জানান, নগদের এজেন্ট প্রতিষ্ঠানটির অপর অংশীদার তারিকুজ্জামান বর্তমানে ঢাকায় নেই। তাকে সিরাজগঞ্জ থেকে ফিরিয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাশাপাশি ডিস্ট্রিবিউটর নয়নকেও থানায় ডেকে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে—তারা কাকে সন্দেহ করছেন, কেনই বা বাসায় এত টাকা রাখা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা ইউনিটের সহায়তায় অপরাধীদের শনাক্তে কাজ করছি।