জানা গেছে, তিন বছর আগে হিরণ গ্রামের সিদ্দিক মোল্লার ছেলে খায়রুল মোল্লার সঙ্গে চিতশী গ্রামের কেরামত আলী শেখের মেয়ে জেসমিন বেগমের (২৫) বিয়ে হয়। বিয়ের দেড় বছর পর জেসমিন বেগম এক পুত্রসন্তানের মা হন।
বিয়ের পর থেকেই খায়রুল মোল্লা জীবিকার সন্ধানে মাঝে মাঝে বাড়ির বাহিরে থাকতেন। এ সুযোগে জেসমিন বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের আক্তার শেখের ছেলে হাসিব শেখের (২৫) পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে হাসিব শেখ গোপনে জেসমিন বেগমের ঘরে এসে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। বাড়ির লোক টের পেয়ে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক করে বেঁধে রাখেন। এ ঘটনায় বুধবার বিকালে খায়রুলের বাড়িতে সালিশ হয়।
সালিশে জনপ্রতিনিধি ও সমাজের প্রভাবশালীদের চাপে খায়রুল তার স্ত্রী জেসমিনকে তালাক দিতে বাধ্য হন। তালাকের ২ ঘণ্টা পর ঘাঘর বাজারে ৪ লাখ টাকা দেনমোহরে হাসিব শেখ ও জেসমিন বেগমের বিয়ে হয়।
এই বিয়েতে খুশি হয়েছেন বলে জানান হাসিব শেখ ও জেসমিন বেগম।
এ বিষয়ে এক আইনজীবী বলেন, এভাবে তালাক দেয়ার দুই ঘণ্টা পর আবার বিয়ে দেয়া শরিয়ত ও আইনসম্মত হয়নি। যারা এ ধরনের সালিশ দরবার করেন তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।
কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বিষয়ে কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।