1. newstatini@gmail.com : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. admin@newstatini.com : unikbd :
রবিবার, ১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
২১শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনামঃ

দুই দিনের ব্যবধানে চাচা-ভাতিজা খুন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

  • প্রকাশিতঃ শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫

 

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার উমরদি মাদবরকান্দি গ্রামে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে খুন হন চাচা খবির সরদার (৫৫) । এর দুই দিন পর ভাতিজা আলমাস সরদারের (২৮) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দুই খুনের সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে দুই পরিবার।

 

খবির সরদারের পরিবারের সদস্যদের জানান, ফজরের আজান ও বয়ান দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে খবির সরদারকে হত্যা করেছে আলমাস সরদার ও তার অনুসারীরা। এরপর থেকে ভাতিজা আলমাস সরদার নিখোঁজ ছিলেন।

 

নিহত খবির সরদারের স্ত্রী মেঘনা বলেন, ‘‘ফজরের আযান ও বয়ান দেওয়া নিয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে আলমাস সরদারের কথা কাটাকাটি হয়। রাতে একপর্যায়ে আলমাস ও তার অনুসারীরা ছুরি দিয়ে আঘাত করে খবির সরদারকে হত্যা করে।’’ এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।

 

আলমাস সরদারের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, খবির সরদারের হত্যার পর থেকে আলমাস সরদার নিখোঁজ ছিলেন। সবাই ভেবেছিলেন চাচাকে হত্যার পর তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। কিন্তু আলমাস পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগে না করায় তাদের সন্দেহ হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দিনগত রাতে প্রতিবেশী আবুল কালাম সরদারের বসতবাড়ির পেছন থেকে মাটির নিচে চাপা দেওয়া আলমাসের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

আলমাস সরদারের বোন হালিমা বলেন, ‘‘সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে তাদের সামনে মাটিচাপা দেওয়া আলমাসের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আমার ভাইকে খবির সরদারদের লোকজন কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পুঁতে রেখেছিল।’’ তিনি এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

 

স্থানীয় বাসিন্দা সালেহা বলেন, ‘‘তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এলাকায় এমন হত্যাকাণ্ড ঘটে গেছে। এ ঘটনার পর আমরা ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। সঠিক তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’’

 

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম  বলেন, ‘‘খবির সরদার হত্যার প্রধান আসামি আলমাস সরদারের মরদেহ মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার আসল কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD