এবার ঢাকার ধামরাই ও সাভার উপজেলায় রাতের ব্যবধানে প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে দুটি পৃথক বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এ দুটির কোনো ঘটনাতেই হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গতকাল রোববার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ধামরাইয়ের ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডের কাছে ডি–লিংক পরিবহনের পার্ক করা একটি বাসে আগুন দেয় অজ্ঞাত তিন দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুটি মোটরসাইকেলে করে তিনজন ব্যক্তি এসে প্রথমে বাসের পেছনের জানালা ইট মেরে ভাঙেন। এরপর তারা গানপাউডার ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেলে পালিয়ে যান।
স্থানীয় লোকজন পানি ও বালু ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে বাসের ভেতরের বেশিরভাগ আসন পুড়ে যায়।
নৈশপ্রহরী ফারুক বলেন, তিন ব্যক্তি এসে প্রথমে বাসে ইট ছোড়ে, এরপর গানপাউডার দিয়ে আগুন লাগিয়ে দ্রুত উপজেলা সড়কের দিকে পালিয়ে যায়।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা জানান, রাত ১০টা ১৫ মিনিটে সংবাদ পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। আগুন পেছনের অংশ থেকে লাগানো হয়েছিল এবং প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এতে গানপাউডার ব্যবহার হয়েছে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে কাজ চলছে।
এ ঘটনার প্রায় আধা ঘণ্টা পর সাভারের বিরুলিয়া বেড়িবাঁধ–সংলগ্ন বটতলা এলাকায় আরেকটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সাভার মডেল থানার পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, রাত সাড়ে আটটার দিকে আলিফ পরিবহনের বাসটি পার্ক করে মালিক আমজাদ হোসেন বাড়িতে খাবার খেতে যান। রাত পৌনে ১১টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে তিনি ছুটে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বাসমালিক আমজাদ হোসেন জানান, আগুনে পুরো বাসটিই পুড়ে গেছে এবং এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সাভার মডেল থানার বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল ওয়াহাব বলেন, মালিক নিজেই বাসের চালক এবং ঋণ করে বাসটি কিনেছিলেন। পার্ক করা বাসে কে বা কারা আগুন ধরিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে







