1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
সোমবার, ২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,
২৬শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনামঃ
মৌসুমী, বাপ্পারাজসহ ২৫ তারকার ব্যাংক হিসাব জব্দ রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকা রণক্ষেত্র হিরো আলমের স্ত্রী রিয়া মনি ও ম্যাক্স অভিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিলো এলাকাবাসী ইরান ও ইসরায়েল থেকে গণহারে পালাচ্ছে মার্কিন নাগরিকরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ ইরান কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে : তুলসি গ্যাবার্ড সঞ্জয়ের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে কাঁদলেন কারিশমা, প্রশ্ন তুললেন তসলিমা নতুন বাজারে সড়ক অবরোধ ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের, যান চলাচল বন্ধ যুদ্ধকালীন ক্ষমতা ছাড়লেন খামেনি “৩৮ শতাংশ ভোটার ধানের শীষ চেনে না”—বিএনপিকে আক্রমণে ফয়জুল করিমের তোপ

দুটি পোয়া মাছ ১ লাখ ২৪  হাজারে বিক্রি

  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বঙ্গোপসাগরে দুটি বড় আকারের কালো পোয়া মাছ ধরা পড়েছে। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা কেজি দরে মাছ দুটি এক লাখ ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের লক্ষ্মী মাঝির বড়শিতে তিন দিন আগে বঙ্গোপসাগরের সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড এলাকায় মাছ দুটি ধরা পড়ে। শনিবার দুপুর ২টার দিকে মহিপুর মৎস্য বন্দরে বিক্রির জন্য তোলা হয়।

লক্ষ্মী মাঝি বলেন, ‘কুতুবদিয়া ফিশের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া ট্রলার নিয়ে ১০-১২ জন জেলে বঙ্গোপসাগরের সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড এলাকায় মাছ ধরতে যাই। এরপর সাগরে হাজারি বড়শি ফেলি। ছয়-সাত ঘণ্টা পর বড়শি তুললে অন্য মাছের সঙ্গে বড় আকারের দুটি পোয়া মাছ উঠে আসে। শনিবার দুপুরে মাছ দুটি বিক্রির জন্য মহিপুর মৎস্য বন্দরে নিয়ে আসি এবং এক লাখ ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।’

এই জাতের মাছ সুস্বাদু এবং অনেক দামি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সচরাচর এই মাছ তেমন একটা পাওয়া যায় না। এটা ভাগ্যের ব্যাপার। কয়েক বছর আগে এই রকম আরও একটা বড় মাছ পেয়েছিলাম।’

মহিপুর মৎস্য বন্দরের কুতুবদিয়া ফিশের মালিক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সাগর থেকে ফেরার পর লক্ষ্মী মাঝি মাছ দুটি নিয়ে আমার আড়তে আসেন। সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা কেজি দরে এক লাখ ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। ছোট আকারের কালো পোয়াটির ওজন ছিল ৯ কেজি এবং বড় আকারের মাছটির ওজন ছিল ১৪ কেজি ৬৫০ গ্রাম। দুটি মাছ মিলিয়ে মোট ওজন হয়েছে ২৩ কেজি ৬৫০ গ্রাম। মাছগুলো কিনে নেন মহিপুর মৎস্য বন্দরের ভাই ভাই ফিসের মালিক মো. সেলিম।’

মো. সেলিম বলেন, ‘বিদেশে পোয়া মাছের চাহিদা প্রচুর। আমাদের কাছে সবসময় বড় মাছের অর্ডার থাকে, আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাছ পাঠাই। তাই মাছ দুটি লাভের আশায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা কেজি দরে কিনেছি। ঢাকায় পাঠাবো। আশা করছি, যে দামে কিনেছি, তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবো।’

সমুদ্রের নীল অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইকোফিশ-২ অ্যাকটিভিটির পটুয়াখালী জেলার সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, ‘কালো পোয়াকে সমুদ্রের স্বর্ণ বলা হয়। এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে প্রোটোনিবিয়া ডাইকেনথাস (Protonibea Diacanthus)। ইংরেজি নাম ব্ল্যাকস্পটেড ক্রোকার (Blackspotted Croaker)। এটি মূলত ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় বেশি পাওয়া যায়। মাছটি বাংলাদেশ উপকূলের সেন্টমার্টিন চ্যানেলেও বেশি পাওয়া যায়। এই মাছের বায়ুথলি সাধারণত ইউরোপসহ হংকং, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে রফতানি হয়। বায়ুথলি থেকে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা ও আইসিনগ্লাস (Isinglass) তৈরি করা হয়। মাছটি সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৫ মিটার লম্বা ও ওজনে ৪৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।’

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘গভীর সাগরে এই জাতের মাছ পাওয়া যায়। খেতে সুস্বাদু। এই মা‌ছের ফুলকা বিদেশে রফতানি করা হয়, যা দি‌য়ে সার্জিক্যাল সুতা তৈ‌রি করা হয়।’

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD