1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
বুধবার, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
১১ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

তুরস্কের এক গ্রামে মানুষ কথা বলে পাখির ভাষায়

  • প্রকাশিতঃ শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪

বিশ্বের এক এক দেশের প্রচলিত ভাষা আলাদা। আবার অঞ্চলভেদে একই দেশে মানুষ কথা বলে ভিন্ন ভিন্ন ভাষাতেও। তবে এখনও এমন এক গ্রাম রয়েছে, যেখানকার বাসিন্দারা কথা বলেন পাখির ভাষায়।

তুরস্কের উত্তরাঞ্চলে পাহাড়ঘেরা প্রত্যন্ত গ্রাম কুসকয়। কৃষ্ণ সাগরের উপকূলবর্তী গ্রামটির বাসিন্দারা কথা বলেন সুরে সুরে, পাখির শিসে। তারা কোনো শব্দ ব্যবহার করেন না, একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পাখির মতো শিস দিয়ে।

পাখির মতো শিস দিয়ে তৈরি এই ভাষার নাম ‘কুস দিলি’। শিস দিয়ে তৈরি বলেই একে বলা হয় ‘পাখির ভাষা’। আর এই গ্রামকে কুসকয় বা ‘পাখির গ্রাম’ বলা হয়।

কুসকয় গ্রামে পাখির ভাষা বা কুস দিলি’র প্রচলন প্রায় ৫০০ বছর ধরে। গ্রামবাসী তাদের পূর্বসূরিদের থেকে এ ভাষা পেয়েছে বলে জানা যায়। গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা এ ভাষায় কথা বললেও, তাদের প্রধান ভাষা তুর্কি। তবে সেখানে পাহাড়ি এলাকা এবং বাসিন্দাদের বাড়িগুলোর দূরত্ব বেশি হওয়ায় তারা যোগাযোগের ক্ষেত্রে শিস ব্যবহার করেন।

তারা মুখের ভেতর দুই আঙুল দিয়ে তীক্ষ্ণ সুরে শিস দিয়ে কথা বলেন, যা পাখির শিসের মতোই শোনায়। কুসকয় গ্রামের পাখির ভাষাকে ২০১৭ সালে ইউনেস্কো ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ২০১৪ সাল থেকে সেখানকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্তরে পাখির ভাষা শেখানো শুরু করে।

১৯৯৭ সাল থেকে কুসকয় গ্রামে ‘কুস দিলি’ উৎসব আয়োজন করা হয়। উৎসবে শিস বাজানোর প্রতিযোগিতাও হয়। কুস দিলি শেখার জন্য গ্রামে নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানও হয়, যেখানে পর্যটক ও বহিরাগতদের পাখির ভাষা বা কুস দিলি শেখানো হয়। এই ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

২০১৯ সাল থেকে তুরস্কের গিরেসুন বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যটন অনুষদে কুস দিলি নামে একটি ঐচ্ছিক বিষয় পড়ানো হয়। ইউনেস্কোর তথ্যমতে, তুরস্কের এই গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পাখির ভাষা অর্থাৎ শিস দিয়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করেন।

এমন নয় যে, পাখির ভাষায় শুধু কুস দিলি গ্রামের বাসিন্দারাই কথা বলেন। আরও অনেক ভাষা আছে, যেখানে শিস ও সুরের সাহায্যে কথা বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী স্মিথসোনিয়ানে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে ৮০টিরও বেশি সংস্কৃতির মানুষ শিসের মাধ্যমে কথা বলেন।

সূত্র: বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস, এনপিআর

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD