শুক্রবার (২৯ মার্চ) নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নে ঘটে এ ঘটনা।
নীলফামারীতে বাবার কাছ থেকে কিনে নেওয়া তিন শতক জমি লিখে নিতে না পেরে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। দাফনে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি বাবার মরদেহ দাফনের জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে ওই ছেলেকে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে মারা যান ওই এলাকার বাসিন্দা মজিবর রহমান। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ দাফনের জন্য বাড়ির পাশের কবরস্থানে কবর খোঁড়া হয়। দাফনের আগে ছেলে নওশাদ আলী জমি লিখে দেওয়ার দাবিতে বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন। পরে নতুন কবর খুঁড়ে মজিবর রহমানের মরদেহ দাফন করা হয়।
তার মধ্যে ২ শতক তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তার ছেলেকে ৫ শতকসহ মোট ৭ শতক জমি লিখে দেন। ৩ শতক জমি তিনি রেখে দেন। মজিবর রহমান ও তার ছেলে নওশাদ আলীর মধ্যে গত ৬ বছর আগে গন্ডগোল হয়। তখন থেকে বাবা-ছেলের মধ্যে কথা বন্ধ ছিল। মজিবর রহমান গত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নীলফামারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আজ সকাল ১০টার দিকে তার দাফন হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নওশাদ জমির দাবিতে তার বাবার দাফনের জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন। তিনি কবরে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মতো শুয়ে ছিলেন। এরপর পুলিশ আসলে তিনি কবর থেকে উঠে আসেন। এরপর আরেক জায়গয় নতুন করে কবর খুঁড়ে মজিবর রহমানের মরদেহ দাফন করা হয়। মজিবর রহমানের অন্য ছেলেরা জমির দাবি করেননি। বরং তারা নওশাদকে কবর থেকে উঠার জন্য বারবার অনুরোধ করছিলেন।
নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ওই ছেলে কবর থেকে উঠে পালিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাপড়া ইউনিয়নের পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাহাবুল ইসলাম বলেন,‘জমি লিখে না দেওয়ায় বাবাকে কবর দিতে বাধা দেওয়ার ঘটনাটি আসলেই দুঃখজনক। এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার বইছে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তার দাফন সম্পন্ন হয়। ’