রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। প্রথমে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে ভারতের আগরতলায় যান তিনি। পরে সেখান থেকে দিল্লির পাশের গাজিয়াবাদের হিন্ডন এয়ারবেস বা ঘাঁটিতে নামে তাকে বহনকারী বিমান।
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি শেখ হাসিনা। তিনি সম্ভবত যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যাচ্ছেন। তবে জানা গেছে, যুক্তরাজ্য নাকি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আশ্রয়ের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। যদিও এই খবর পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি গণমাধ্যমটি।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। আজ সোমবার দুপুরে বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন তথা ‘গণভবন’ ছাড়েন তিনি। সেখান থেকে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা হয়ে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দিল্লির উপকণ্ঠে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে হিন্ডন ঘাঁটিতে নামে তার বিমান। যদিও প্রথমে শোনা গিয়েছিল, দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করবে তার বিমান।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত এক মাস ধরেই উত্তাল বাংলাদেশ। প্রথমে শুধু কোটা সংস্কারের দাবি থাকলেও পরে সেটি গড়ায় সরকার বিরোধী আন্দোলনে। হামলা-গুলিতে শতশত মানুষ মারা যাওয়ার পর গত পরশু সরকার পতনের এক দফা দাবি দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করলে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণাও দেন তারা। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ ছিল ঢাকামুখী লংমার্চ। সেই আন্দোলন উত্তাল হওয়ার আগমুহূর্তেই দেশ ছাড়েন শেখ হাসছে…