সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতেই থাকবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮ কে এই তথ্য জানিয়েছে। ভারতেও সরকারি সংস্থা গণমাধ্যমটি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সূত্রটির তথ্য, শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করলেও সেটি আশ্রয়প্রার্থী বা শরণার্থী হিসেবে নয়, ভিসার মাধ্যমে থাকবেন।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।
বিষয়টি নিয়ে নিউজ-১৮ এর সাংবাদিক জানিয়েছেন, ‘যুক্তরাজ্যে হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন সেটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে। কারণ যুক্তরাজ্য এ ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও তার ভিসা বাতিল করেছে। হাসিনাকে আশ্রয় না দিতে যুক্তরাজ্যের উপর ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো চাপ দিচ্ছে। তবে ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে বলেছে যে যতদিন পর্যন্ত তিনি ভবিষ্যত পরিকল্পনা ঠিক না করছেন ততদিন পর্যন্ত তিনি ভারতেই অবস্থান করতে পারবেন।
এর আগে দিল্লির একটি সূত্রের বরাতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, যত দিন রাজনৈতিক আশ্রয়–সংক্রান্ত জটিলতা না মিটছে, তত দিন শেখ হাসিনাকে দিল্লিতে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে ভারত সরকারের। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দিল্লি, লন্ডন আর হাসিনার মধ্যে আলাপ–আলোচনার পর পরিস্থিতি এমনটাই দাঁড়িয়েছে।
আশ্রয় চাওয়া না–চাওয়ার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র গতকাল মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, ‘যেসব ব্যক্তির প্রয়োজন, তাদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের গর্বিত রেকর্ড রয়েছে। তবে আশ্রয় বা সাময়িক আশ্রয়ের জন্য কাউকে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়ার কোনো বিধান নেই।’
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, ‘যাদের আন্তর্জাতিক সুরক্ষা প্রয়োজন, তাদের প্রথমে নিরাপদ যে দেশে পৌঁছান, সেখানে আশ্রয় প্রার্থনা করা উচিত। এটি সুরক্ষার দ্রুততম পথ।’ যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্রের কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, শেখ হাসিনাকে আপাতত ভারতে থাকতে হতে পারে।