এবার নিজেদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সঙ্গে অতীত যাবতীয় দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলতে আগ্রহী আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর ৭ আগস্ট ঢাকার নয়াপল্টনে সমাবেশ করেছে বিরোধী দল বিএনপি। সেই সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই নির্দেশনাকে সাধুবাদ জানিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক বক্তব্যে আমি খুবই খুশি। তিনি বলেছেন—যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। আমিও তা ই বলছি— আসুন, আমরা অতীতকে ভুলে সামনের দিকে অগ্রসর হই, প্রতিশোধের রাজনীতিকে প্রশ্রয় না দিই। আমরা মিলেমিশে থাকতে চাই।”
“আমি বিশ্বাস করি যে রাজনীতিতে আলাপ-আলোচনা খুবই জরুরি। আমরা তর্ক করতে পারি, কোনো ইস্যুতে আমরা একমত বা ভিন্নমত পোষণ করতে পারি এবং শেষ পর্যন্ত একটা সমঝোতায় যেতে পারি।”
“বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা বিএনপির সঙ্গে কাজ করতে চাই। আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্র এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারে।”
শিক্ষার্থী-জনতার এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। জয় অবশ্য দাবি করেছেন যে তার মা দাপ্তরিকভাবে পদত্যাগ করেননি। বর্তমানে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন হাসিনা। তিনি ভারতে যাওয়ার পর থেকে নিয়মিত সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছেন তার ছেলে জয়।
এদিকে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর ইতোমধ্যে একটি অন্তবর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। বৃহস্পতিবার সেই সরকারের উপদেষ্টারা শপথও নিয়েছেন।
তবে রয়টার্সকে জয় জানিয়েছেন, যে হেতু শেখ হাসিনা দাপ্তরিকভাবে পদত্যাগ করেননি— তাই এখনও তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারপ্রধান থাকা অবস্থায় অন্তবর্তী সরকার গঠনের বৈধতা নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ জানাতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।