এবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বিক্ষোভকে উস্কে দিয়েছিল সম্ভবত একটি বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা। বিশেষ করে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এতে জড়িত থাকতে পারে। শনিবার ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।
জয় দাবি করেছেন, বৈষম্যবিরোধী বিক্ষোভ অভ্যন্তরীণ সমস্যার পরিবর্তে বহিরাগত শক্তি দিয়ে পারিচালিত হয়েছিল।
তিনি বলেছেন, ‘আমি এখন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে এটি একটি ছোট গোষ্ঠী প্ররোচিত করেছিল এবং সম্ভবত একটি বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে। আমি দৃঢ়ভাবে আইএসআইকে সন্দেহ করি। বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার কোনো কারণ ছিল না, কারণ কোটার বিষয়টিতে আমাদের সরকার বাধ্য করেনি এবং এটি সংস্কার করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে যখন প্রথম কোটাবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছিল তখন আদালতের রায়ের মাধ্যমে আমাদের সরকার কোটা বাতিল করেছিল।’
কোটাবিরোধীদের শেখ হাসিনা রাজাকারের সন্তান বলেননি দাবি করে জয় বলেন, ‘তারা আমার মায়ের বক্তব্য নিয়েছে যেখানে তিনি বলেছিলেন যে আমরা রাজাকারদের পরিবারকে চাকরি দিতে চাই না। তারা সেই বক্তব্য বদলে দিয়ে বলা হলো, আমার মা বলেছেন প্রতিবাদকারীরা রাজাকার। আমার মা কখনো এটি বলেনি। তবে এটি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে শেখ হাসিনার পুত্র বলেন, ‘১২ ঘন্টার মধ্যে, তারা ভুল করতে শুরু করেছে। তারা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে যে নির্বাচন তাদের অগ্রাধিকার নয়। অগ্রাধিকার হচ্ছে দেশের সংস্কারের জন্য বিগত সরকারের বিচার করা। কিন্তু কেউ তাদের দেশ সংস্কারের ম্যান্ডেট দেয়নি।’
তিন আরও বলেন, ‘অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করা এক জিনিস। দেশ শাসন করা অন্য জিনিস। তাদের জনগণের সমর্থন নেই। কে তাদের কথা শুনবে?।’
সংখ্যালঘুদের আওয়ামী লীগই নিরাপত্তা দিতে পারে দাবি করে জয় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করেছে এবং বর্তমান সরকার তা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপদ রাখতে, বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমি যা করার দরকার তা করতে চাই।’