এবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মো. ইউনূস একজন অত্যন্ত সম্মানী ব্যক্তি। তিনি দেশবাসীর সামনে কথা বলছেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যতোগুলো হত্যাকাণ্ড হয়েছে, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে।’
শনিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী মো. সাব্বিরের স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি নেতা এ্যানি আরো বলেন, ‘আমরা এ মুহূর্তে সকলকে ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য অনুরোধ করছি। এ সরকারকে সহায়তা করা এখন আমাদের কাজ। সেই জন্য আমরা পাড়া-মহল্লায় সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান করছি। এ সরকারের সহযোগিতার মাধ্যমে সবাই মিলে একটা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
এর-আগে এ্যানি চৌধুরী জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ সাব্বিরের কবর জিয়ারত করেন। এসময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ, সাহাব উদ্দিন সাবু, অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমানসহ প্রমুখ।
পরে তিনি সাব্বিরের বাবা আমির হোসেনকে সাথে নিয়ে তাঁর মা মায়া আক্তার, স্ত্রী তৃর্ণা আক্তারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে তাদের সান্তনা দেন। এসময় তিনি নগদ ২০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে জেলা বিএনপি তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন এ্যানি চৌধুরী।
নিহত শিক্ষার্থী সাব্বিরের পরিবারের পক্ষ থেকে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী ট্রাফিক চত্বরকে ‘শহীদ সাব্বির চত্বর’ নামকরণ করার জন্য দাবি তুলেন। তখন জবাবে এ্যানি বলেন, ‘সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের আলাপ হলে আপনাদের এ প্রস্তাবনার কথা আমরা তুলে ধরবো।’
নিহত শিক্ষার্থী সাব্বির লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের চৌধুরী মাঝি বাড়ীর মো. আমির হোসেনের ছেলে। সেই দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাব্বিরসহ ৪ জন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। একইদিন দুর্বৃত্তের নিষ্ঠুর হামলার শিকার হয়ে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের প্রায় ৮ নেতাকর্মী নিহত হয়। ওইদিন গুলিবিদ্ধসহ বিভিন্নভাবে আহত হয় প্রায় শতাধিক মানুষ।