সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর ভেঙে পড়েছে পুলিশের চেইন অব কমান্ড। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি তোপের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। সারা দেশে বাহিনীটির থানা ও ট্রাফিক স্থাপনায় হামলা হয়েছে, সদস্যদের মারধর ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরকার বা আওয়ামী ঘেঁষা কেউ আটক হন কেউবা আত্মগোপনে চলে যান। এমন পরিস্থিতিতে ভেঙে পড়েছে পুলিশের চেইন অব কমান্ড। পুলিশ বাহিনীকে পুনর্গঠন ও সংস্কারের দাবি যখন সবখানে তখন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ট্রাফিক পুলিশ শূন্য ট্রাফিক সিগন্যাল ও সড়কে যান চলাচলের শৃঙ্খলার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে ছাত্র-জনতা।
এদিকে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে ছাত্র-জনতা। সরকার পতনের পর আজ রোববার (১১ আগস্ট) সবচেয়ে বেশি যানবাহন সড়কে নেমেছে। খুলেছে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, কলকারখানা। তাই সকাল থেকে দিনভর সড়কে ছিল তীব্র যানজট। বেসামাল পরিস্থিতিতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি জায়গায় পোশাকে ট্রাফিক ব্যবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগ।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে ট্রাফিক বিভাগের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংকটময় মুহূর্তে ট্রাফিক পুলিশ শূন্য নগরীতে ছাত্র প্রতিনিধি, সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসিসহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করা সব পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দিনভর যোগাযোগ ও সাক্ষাৎ করে সোমবার থেকে পুরোদমে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ট্রাফিক বিভাগ।