তাহমিদ চৌধুরী নামের আরেক সমন্বয়ক বলেন, তাদের একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার সম্ভাবনা আছে। তারা এখনো তাদের কর্মসূচী নিয়ে কাজ করছে।
প্রধান বিচারপতি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ও ছাত্রদের ওপর দমন-পীড়নের তদারকিকারী পুলিশ প্রধানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের পদচ্যুতির মাধ্যমে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন আনা হয়েছে।
ড. ইউনূসের একজন মুখপাত্র কূটনীতিক তৌহিদ হোসেন রয়টার্সকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এখনো টেকনোক্র্যাটদের সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেনি। তবে রাজনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে চলেছে। কারণ আমরা মূলত তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতি থেকে বাদ দিয়েছি।’
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮৪ বছর বয়সী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস যদিও নৈতিক কর্তৃত্ব বজায় রাখেন কিন্তু তার প্রশাসন কী অর্জন করতে পারে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক বলেন, ‘আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে আমরা সম্পূর্ণরূপে অজানা জলে ভাসছি। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা সম্পর্কে কোনো সাংবিধানিক ব্যাখ্যা নেই।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণ এবং নতুন সরকারের সম্ভাবনার কথা জানতে প্রধান ছাত্রনেতা, শেখ হাসিনার ছেলে ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ, বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং সেনা কর্মকর্তাসহ ৩০ জনেরও বেশি লোকের সাক্ষাৎকার নিয়েছে রয়টার্স।
সজীব ওয়াজেদ যুক্তরাষ্ট্র থেকে রয়টার্সকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো কোথাও যাচ্ছে না। আপনি আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে পারবেন না। শীঘ্রই আওয়ামী লীগ বা বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসবে। আমাদের সাহায্য ও সমর্থন ছাড়া আপনারা বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা আনতে পারবেন না।’
গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, গত জুনে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের ২০১৮ সালের প্রজ্ঞাপন বাতিলের পরপরই শুরু হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ আন্দোলনকারীদের অধিকাংশই ছিলেন ২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী। কয়েক দিনের মধ্যে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে হাসিনার সরকার তাদের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করে। ওই সহিংসতায় কমপক্ষে ৩০০ আন্দোলনকারী নিহত হয়েছে। যা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় নিহতের ঘটনা।
বছরের পর বছর বেকারত্বের বৃদ্ধি, দুর্নীতির অভিযোগ ও নাগরিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ফলে তরুণ বাংলাদেশিদের মধ্যে এ ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। এই আন্দোলনকে ‘জেন জেড’ বিপ্লব হিসেবে পরিচয় দেওয়া হয়েছে।