1. [email protected] : নিউজ ডেস্কঃ : নিউজ ডেস্কঃ
  2. [email protected] : unikbd :
রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

আওয়ামী লীগের যত নেতা গ্রেপ্তার

  • প্রকাশিতঃ বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০২৪

 

    সরকারের পতনের পর  আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবি তাজুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বন্দরের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোয়াহেলকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাতে তাদেরকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি এখনো নিশ্চিত করেনি পুলিশ।

একই রাতে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন কক্সবাজারের আলোচিত সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি। তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব)। গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার একজন উপদেষ্টা, সরকারের শীর্ষ সাবেক দুজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তারের পর তাদের কেউ কেউ রিমান্ডে আছেন, কোনো কোনো নেতাকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।

তবে সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষ নেতাসহ বিগত সরকারের অনেক মন্ত্রী কিংবা পুলিশের আলোচিত বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এখনো পলাতক রয়েছেন। যাদের অনেকেরই বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে হত্যা মামলা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন মামলায় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলামকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একটি দল রাজধানীর বনশ্রী থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে নেয়া হয় ডিবি হেফাজতে। ২০০৮ সাল থেকে টানা চার মেয়াদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া–৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন তাজুল ইসলাম। এর আগে ১৯৯৬ সালে একই আসন থেকে এমপি হয়েছিলেন তিনি। ২০০৯ সালের শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিসভার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। একই সঙ্গে দলটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদকও ছিলেন।

একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনকে। তিনি দ্বাদশ সংসদে নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বদি। এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কক্সবাজারে ইয়াবা ব্যবসা ও পাচারের অভিযোগ বহু পুরোনো। তাকে নিয়ে নানা বিতর্কের পর গত একাদশ সংসদে উখিয়া টেকনাফ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তার স্ত্রী শাহীন আক্তার।

রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল সর্বশেষ ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান। গত বছরের এপ্রিলে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। এর আগে ছিলেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। গত সোমবার রাতে নৌবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় সোহায়েলকে। মূলত বিগত দুই বছর বন্দরে দায়িত্ব পালন করলেও তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন র‌্যাব কর্মকর্তা হিসেবে। ২০১০ সাল থেকে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের ডিরেক্টর ছিলেন সাবেক এই নৌবাহিনী কর্মকর্তা।

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছিল তাদের মধ্যে এই র‌্যাব কর্মকর্তাও ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তাকে বনানীর বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর নেয়া হয় ডিবি হেফাজতে। তবে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সেটি এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।

 

বাংলাদেশের সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে ১৪ আগস্ট রাতে ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পরের দিন রাতে রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর গত সোমবার রাতে বারিধারা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনিকে। একই রাতে গ্রেপ্তার করা হয় আওয়ামী লীগ সরকারে সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে। মঙ্গলবার আদালতে আনা হলে তাদের দুজনকেই রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক দলের নেতা, বিচারক, সরকারি আমলা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রায় ৬২৬ জন ব্যক্তিকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় দেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। সেখানে জানানো হয়, বিভিন্ন অভিযোগ বা মামলার ভিত্তিতে আশ্রয়গ্রহীতাদের চারজনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ইতোমধ্যেই হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিরা নিজ নিজ উদ্যোগে সেনাবাহিনী ক্যাম্প ছেড়ে চলে গেছে বলেও জানায় আইএসপিআর।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৪
Developed By UNIK BD