চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই মুক্তির কথা ছিল চিত্রনায়িকা পরীমণি অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’। কিন্তু দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই। নতুন কোনো তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
কিঙ্কর আহসানের উপন্যাস ‘রঙিলা কিতাব’ এর ছায়া অবলম্বনে সাত পর্বের এই সিরিজটি নির্মাণ করেছেন ‘দেবী’ খ্যাত অনম বিশ্বাস। চিত্রনাট্য করেছেন নির্মাতা ও আশরাফুল আলম শাওন। মুক্তি প্রসঙ্গে হইচই বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাকিব আর খান বলেন, “আমাদের ‘রঙিলা কিতাব’ মুক্তির জন্য একদম প্রস্তুত। আগস্টের ৮ তারিখ প্রচারের কথা ছিল। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নেই এখনই সিরিজটি প্রচার করব না। দেশের সব কিছু, ঢাকার সব কিছু এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। নতুন তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তাই একটু সময় লাগবে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো যখন নতুন কাজের প্রচার শুরু করবে তখন আমরাও সিরিজটি নিয়ে প্রচারের পরিকল্পনায় যাব।”
এদিকে সিরিজটি প্রসঙ্গে অনম বিশ্বাস বলেন, “আমার গল্পে সব সময় চিন্তা থাকে বাংলাদেশের গ্রামীণ প্রেক্ষাপটের চিত্রগুলো তুলে ধরার। এটা অনেকটা মেলোড্রামা। গল্পটা আমাদের অনেকেরই জানা, একটি চেনা শহরের এক গ্যাংস্টারকে নিয়ে। সেই গল্পের ভেতরে এক গৃহিণীর চরিত্র, স্বামীর সঙ্গে তার সম্পর্ক, রসায়ন, তাদের ক্রাইসিস সেটা আমরা দেখানোর চেষ্টা করেছি। সাধারণ মানুষের ইমোশনের গল্পও দেখা যাবে এই সিরিজে।”
দর্শক প্রত্যাশা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সেটা তো এখনই বুঝতে পারছি না। তবে আমরা চেষ্টা করেছি যে গল্পটা মানুষের সামনে তুলে ধরতে চাই তা একটু গুছিয়ে প্রচার করার। গল্পটা দর্শক পছন্দ করবে এবং তাদের বিশ্বাসটা আমরা অর্জন করতে পারব বলে আশা করছি।” সিরিজটিতে পরীমণিকে দেখা যাবে ‘সুপ্তি’ নামের এক গৃহিণীর চরিত্রে। এই চরিত্রে পরীমণিকেই কেন বেছে নেওয়া হলো, এমন প্রশ্নে পরিচালক বলেন, “আমার এই সিরিজে কাজ করা প্রত্যেকটা শিল্পীই খুব ডেডিকেটেড ছিল। আমরা গল্পটি নিয়ে অনেকটা সময় কাজ করেছি। অনেকটা সাহসী একটা গল্প। চেষ্টা করেছি অভিনয়টা যতটা বাস্তবিক করে তুলা যায়। সেই জায়গা থেকে পরীমণি দারুণ অভিনয় করেছেন। সুপ্তি চরিত্রে পরীকে নেওয়ার কারণ এটাই যে, সে খুব সুন্দর করে গল্পটার চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে পারবে।”
‘রঙিলা কিতাব’-এ পরীমণির বিপরীতে অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজুর নূর ইমরান। এ ছাড়াও রয়েছেন শ্যামল মাওলা, ফজলুর রহমান বাবু, জিয়াউল হক পলাশসহ কয়েকজন। সিরিজটির শুটিং হয়েছে বরিশাল, ঝালকাঠি, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায়