এবার ভারী বৃষ্টির কারণে ভয়াবহ বন্যা বাংলাদেশে। বন্যায় দেশের ৮ জেলার ৩৫৭টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে প্রায় ২৯ লক্ষ মানুষ। জলবন্দি হয়ে পড়েছে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার ৮৪০টি পরিবার। এখন পর্যন্ত বন্যায় দুজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। একজনের মৃত্যু হয়েছে ফেনীতে, আরেকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ সচিবালয়ে এক সংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলি রেজা।
মন্ত্রনালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাদুর্গত আট জেলা হল ফেনি, কুমিল্লা, নোয়াখালি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ। আলি রেজা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে। এক হাজার ৫৩৪টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছে ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ।
বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তর চলতি মাসের শুরুতে পূর্বাভাসে জানিয়েছিল, এ মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আধিকারিক সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান সাতটি নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।
এদিন দুপুরের দিকে মৌলভীবাজারে মনু নদের জল বিপদসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার, হবিগঞ্জে খোয়াই নদ ১৯৫ সেন্টিমিটার, কুমিল্লায় গোমতীর জল ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ভারতের ত্রিপুরা এবং সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের জেলাগুলোয় ভারী বৃষ্টি হয়েছে বলে জানান উদয় রায়হান। তিনি বলেন, ‘বন্যার মূল কারণ অতিবৃষ্টি। এর ফলে নদীর জল বেড়েছে।’







