যদিও পশুপ্রেমী হিসেবে বেশ সুনাম রয়েছে ঢাকাই সিনেমার বর্তমান সময়ের নায়িকা তমা মির্জার। বিভিন্ন সময় পশুর ওপর পাশবিক, অমানবিক অত্যাচারে বিরুদ্ধে কথা বলতে দেখা গিয়েছে তাকে। সম্প্রতি ভারতের ঝাড়গ্রামে মা হাতিকে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন তমা মির্জা।
তমা মির্জা তার ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করেন। ছবিতে দেখা যায়, একটি হাতির চার পায়ই শিকল দিয়ে বাঁধা। এক লোক লাঠি হাতে হাতিটিকে মারতে উদ্ধত।
এ ছবির ক্যাপশনে তমা মির্জা লেখেন, ‘দিনের আলোতে প্রকাশ্যে একটা হাতিকে পায়ে শেকল দিয়ে, দড়ি দিয়ে বেঁধে পেটানো হচ্ছে। আর সেটা সবাই দেখছে, কতটা পাশবিক, মর্মান্তিক। মানুষ আর দানবের পার্থক্য আমরা ভুলে যাই কেন? কোনো বিচার কি নেই বোবা পশুপ্রাণীর এই অমানবিক অত্যাচারের?’
তমা মির্জার এ পোস্টে অনেকেই পশু হত্যার নিন্দা জানিয়ে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, ভারতের ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ জঙ্গল এলাকায় বসবাস হাতিদের। কিন্তু জঙ্গলে থাকা এখন বিশাল চ্যালেঞ্জিং এসব হাতিদের জন্য। কারণ জঙ্গলে খাদ্যাভাব এবং লোকালয়ে এসে মানুষের তাড়া। চলতি মাসে জ্বলন্ত শলাকা বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক অন্তঃসত্ত্বা হাতির।
জানা গেছে, ওই মা হাতিকে স্থানীয় হুলাপার্টির কয়েকজন সদস্যরা মিলে মেরে ফেলে। হুলা হলো, লোহার রডে লাগানো বড় মশাল, যা মূলত চটের বস্তা কেরোসিনে ডুবিয়ে তৈরি হয়। এই হুলার সাহায্যে এক গ্রাম থেকে আর এক গ্রামে হাতি তাড়ানোর কাজ করে বন দপ্তরের কিছু কর্মী বা হুলাপার্টি।