তেহরান টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান সরকারের নবনিযুক্ত মুখপাত্র ফাতেমেহ ১৯৭০ সালে আরাকে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর স্কটল্যান্ডের এডিনবরার হেরিয়ট-ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ডক্টরেড ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যবসা এবং প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ফাতেমেহ।
ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সরকারের আমলেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তিনি সেখানকার টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল ট্রেনিং ইউনিভার্সিটি অব শরিয়তির প্রধান হিসেবে কার্যনির্বাহ করেন। ইরানের সেন্টার ফর ব্রিলিয়ান্ট ট্যালেন্টসের প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ২০১৭ সালে।
স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়োগ আগামীদিনে অন্যান্য নারীদের সরকারি উচ্চপদে নিয়োগের পথ আরও প্রশস্ত করল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর পেজেস্কিয়ানকে বেছে নেন ইরানিরা। গত জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছেন তিনি। ফাতেমেহর পাশাপাশি পেজেস্কিয়ানের সরকার আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের দায়িত্ব দিচ্ছে বলে জানা গেছে। গত সপ্তাহে পরিবেশ বিভাগের প্রধান হিসেবে সাইনা আনসারিকে নিয়োগ দিয়েছে তেহরান।
উল্লেখ্য, বছর দুয়েক আগে ইরানে হিজাব না পরায় মাহশা আমিনি (২২) নামে এক নারীকে পুলিশি হেফাজতে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল।
আর এরপরেই নারী আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল ইরান। যদিও সেই সময় ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি দাবি করেছিলেন, আমিনিকে হত্যা করা হয়নি। হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ব্যাখ্যা দিয়েছিল ইরানের পুলিশ। যদিও তা মাহশার পরিবার মানতে চায়নি। এরপরেই ইরানে ‘হিজাব বিরোধী আন্দোলন’ শুরু হয়।