যদিও  কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানকে দাপট দেখিয়ে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। এবার তাদের মিশন ভারতের বিপক্ষে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তবে এই সিরিজ নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে হামলার হুমকি দিয়েছে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা।

 

 

দলটির সভাপতি জয়বীর ভরদ্বাজ বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের গণহত্যা করা হচ্ছে… মন্দির ধ্বংস করা হচ্ছে। এরপরেও প্রধানমন্ত্রী মোদি এখানে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই, হিন্দু মহাসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে গোয়ালিয়রে ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যাচের বিরোধিতা করা হবে। শান্তি বজায় রাখার জন্য ম্যাচটি বাতিল করা উচিত। কারণ, অন্যথায় দেশে অশান্তি হবে।

এই বিষয়টি স্বীকার করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইও। বিসিসিআই সূত্রে এবিপি লাইভ জানিয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি হবে কানপুরে। এই ম্যাচে সফরকারী দলের ওপর হামলার হুমকি দিয়েছে হিন্দু মহাসভা।

‘সংগঠনটির সহসভাপতি ডা. জয়বীর ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, তারা এই ম্যাচ বাতিলের সবরকমের চেষ্টা করবে। শেষ পর্যন্ত এ ম্যাচের আয়োজন করলে এতে হামলারও হুমকি দিয়েছেন তিনি।’

হিন্দু মহাসভার এমন হুমকি চিন্তায় ফেলেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকেও (বিসিসিআই)। এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্তের কথা শোনা না গেলেও গুঞ্জন রয়েছে, পরিবর্তন করা হতে পারে ভেন্যু। সে ক্ষেত্রে কানপুর থেকে দ্বিতীয় টেস্ট স্থানান্তর হতে পারে ইন্দোরে।

এ বিষয়ে এতদিন চুপ থাকলেও এবার মুখ খুলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নতুন বোর্ড পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, না এরকম সবসময় সব দেশের খেলাতে অন এন্ড অফ থাকেই। আমার মনে হয়না সেটা বড় একটা থ্রেট। আমাদের যেভাবে পরিকল্পনা করা আছে, সেভাবেই করব।

উল্লেখ্য, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্ট দিয়ে ভারত সফর শুরু হবে শান্ত-লিটনদের। কানপুরে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলবে টাইগাররা। এরপরেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টির পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে ৯ ও ১২ অক্টোবর।