এবার দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধি রোধে ভারত থেকে ২ লাখ ৩১ হাজার পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।এই প্রথম আজ সোমবার সকাল ১০টায় ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর ডিম আমদানি করা হলো।
কাস্টমসের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান ডিম আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল ডিমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ও শুল্কায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আমদানিকারক কাস্টমসে সাবমিট করেছেন। ডিমের গুনগত মান পরীক্ষা করে খালাস দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। ’
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলুশান নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতীয় এক ট্রাকে (৪০০ কার্টন) ২ লাখ ৩১ হাজার পিস মুরগির ডিম আমদানি করেছে। এসব ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের শ্রী লক্ষী এন্টারপ্রাইজ। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি ছাড় করনের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছেন বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট রাতুল এন্টারপ্রাইজ।
আমদানি করা এসব ডিমের ইনভয়েস মূল্য ১১ হাজার ২৭২ ডলার। প্রতি ডজন ডিমের আমদানি মূল্য দশমিক ৫৬ ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫ টাকা। এ ছাড়া প্রতি ডজন ডিমের নির্ধারিত মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ কাস্টমস ডিউটিসহ প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য দাঁড়ায় ৭ টাকা।
এ বিষয়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আব্দুল হাকিম বলেন, ‘ডিমের চালানটি খালাসের জন্য সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস কাস্টমস হাউসে সাবমিট করেছেন। ডিমের চালানটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও শুল্কায়ন শেষে সরকারি রাজস্ব জমা দেওয়া সাপেক্ষে ডিমের চালান খালাস দেওয়া হচ্ছে। ডিমের চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’