এদিকে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার সকালে মাইথন ও পাঞ্চেত নামক ২টি জলাধার মিলিয়ে মোট ১ লাখ ৪৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়া শুরু হয়েছে। সোমবার থেকেই পানি ছাড়া শুরু হলেও আজ পানির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গের প্লাবন-পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত কয়েক দিনে নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গা জলমগ্ন। এরই মধ্যে ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টিরও প্রভাব পড়েছে বাংলায়। বিভিন্ন বাঁধ ও জলাধার থেকে পানি ছাড়া শুরু হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ডিভিসির মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারে চাপ বেড়েছে। এই ২টি জলাধার থেকে পানি ছাড়া হলে, তা দামোদর নদ হয়ে পৌঁছয় পশ্চিম বর্ধমানের দামোদর ব্যারেজে। পানির চাপ বাড়তে থাকলে সেখান থেকেও পানি ছাড়ার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বেশি মাত্রায় পানি ছাড়া হলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। বিশেষ করে বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলির খানাকুল, আরামবাগসহ দামোদরের তীরবর্তী এলাকাগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা।