এতে বলা হয়, খাগড়াছড়ি সদর থানা এলাকায় পাহাড়ি ও বাঙালি সংগঠনের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেয় এবং উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে এসব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটতে পারে এমন শঙ্কায় আজ দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসক মো. শহীদুজ্জামান, দীঘিনালা সেনা জোনের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল ওমর ও পুলিশ সুপার আরিফিন জুয়েল দীঘিনালার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনার উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠনসহ দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে বিচারের আশ্বাস দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার দীঘিনালায় লারমা স্কয়ারে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে দুর্বৃত্তরা বাজারে আগুন দিলে অর্ধ শতাধিক দোকানপাট পুড়ে যায়।
একই ঘটনার জেরে গতকাল রাতে জেলা সদরের স্বনির্ভর ও নারানখাইয়া এলাকায় গুলিতে ৩ জন নিহত ও আরও ৯ জন আহত হন। নিহতরা হলেন – জুনান চাকমা (২০), ধনঞ্জয় চাকমা (৫০) ও রুবেল (৩০)।
প্রসঙ্গত, বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরে মো. মামুন নামে এক যুবককে চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা কেন্দ্র করে এসব সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।