যদিও ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে যাবার পর থেকে আওয়ামী লীগ অনেকটা আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায়। তবে, দলকে চাঙ্গা রাখতে মাঝেমাঝেই শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে আ.লীগের নানা পর্যায়ের নেতারা দিচ্ছেন নানা নির্দেশনা। এবার, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে আওয়ামী লীগ। আ.লীগকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।হানিফ জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদারের দেওয়া বক্তব্য ‘আওয়ামী লীগ ছাড়াও আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে’ এবং আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে ১০ বছর দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করার যে নীলনকশা করা হচ্ছে। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন ও বৃহৎ রাজনৈতিক দলকে নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখার যে হীন প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এ ধরনের অপতৎপরতা থেকে দূরে থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রধান হিসেবে বদিউল আলম মজুমদার একেবারে অগ্রহণযোগ্য কথা বলেছেন বলে মন্তব্য করেন আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের বাইরে রেখে নির্বাচনের কথা বলেছেন তিনি। যেটা অগ্রহণযোগ্য এবং অযৌক্তিক। আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন অতীতে কখনো হয়নি, ভবিষ্যতেও হওয়ার সম্ভবনা নেই। আইয়ুব খানের শাসনামল থেকে শুরু করে প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেছে। আওয়ামী লীগ এই দেশের মাটি ও মানুষের দল। আওয়ামী লীগের শেকড় এই বাংলার মাটির অনেক গভীরে।