শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। সকাল নয়টায় দুইটি পয়েন্টে পানি প্রবাহ অপরিবর্তিত থাকলেও দুপুর ১২ টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে পানি রেকর্ড করা হয় এবং কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২১ সে. মি নিচে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়।
এর ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত দুইদিনে টানা বৃষ্টিতে তিস্তার চরে কৃষকের ফসল তলিয়ে গেছে। কৃষকের ধান, মরিচসহ শীতকালীন আগাম সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে। চরাঞ্চলে থাকা সাধারণ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ায় স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও আশঙ্কা করা হচ্ছে তিস্তার বাম ও ডান তীরে নিম্নাঞ্চলে সাময়িক বন্যা দেখা দিতে পারে।
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্ধন এলাকার আব্দুর রহিম বলেন, শুক্রবার রাত থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। রাস্তাতেও পানি উঠেছে। ঠিকমতো চলাচল করতেও পারছি না। শুকনো খাবার খেয়ে আছি। রান্না করার কোনো উপায়ও নাই।
বানভাসি মানুষদের দাবি, এই অন্তর্বর্তী সরকার যেন তিস্তা চরাঞ্চলবাসীর জন্য তিস্তায় চিরস্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা করেন। নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে আসায় অল্প পানিতে বন্যা ও নদী ভাঙনের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আর এই সমস্যা সমাধানে তিস্তা নদী খনন বা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন খুবই দরকার।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি গত দুইদিনে সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং জেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ছাড়াও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।