শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চ্যানেল আইয়ের ছাদবারান্দায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ছবির মুক্তির বিষয়ে জানান অভিনেত্রী।নিজের লেখা বই ‘অজাগতিক ছায়া’ থেকে শরতের জবা গল্পটি বড় পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন কুসুম সিদকার। পরিচালনার পাশাপাশি এতে নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৬ বছর পর পর্দায় ফিরছেন অভিনেত্রী।
এই প্রত্যাবর্তন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অভিনেত্রী বললেন, ‘প্রায় ৬ বছর আমি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। শেষ কাজ করেছি ২০১৮ সালে। আমাকে অনেকবারই এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে যে, আমি কেন কাজ করছি না? আজকে শরতের জবা’র মাধ্যমেই বলতে চাই, কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে আমি নিজেকে স্বেচ্ছায় অভিনয় থেকে দূরে রেখেছিলাম। কিন্তু পরিবারের সহযোগিতায় সৃষ্টিকর্তার রহমতে আজকে শরতের জবা নিয়ে আসতে পারছি আপনাদের কাছে।’
এবার মুক্তি পাচ্ছে তাঁর পরিচালিত প্রথম সিনেমা। এটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও পহরডাঙ্গা পিকচার্স।
সিনেমাটি এগিয়েছে একজন একাকী নারীর রহস্যময় জীবনের গল্প নিয়ে। অতৃপ্ত প্রেম, আঘাতের পর আঘাত, কিছু অপ্রত্যাশিত মৃত্যু জড়ানো জবার জীবন নানা সময়ে একেক প্রশ্নের জন্ম দেয়। জবা কি আসলেই খুনি? নাকি অদৃশ্য কোনো শক্তি রয়েছে তার সাথে? এমন থ্রিলার গল্পে নির্মিত হয়েছে শরতের জবা।
এদিকে, সিনেমাটির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় অভিষেক করছেন নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নিদ্রা নেহা। তিনি রয়েছে ‘বেলী’ নামের একটি চরিত্রে। সংবাদ সম্মেলনে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘‘এতে অভিনয়ের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম রোমাঞ্চকর মনে হয়েছিল এর নামটা। যখন আমার কাছে কল আসে যে, শরতের জবা নামে একটা সিনেমা হতে যাচ্ছে। এখানে বেলী নামের একটা চরিত্রের জন্য আমাকে খোঁজা হচ্ছে। এবং আমার সঙ্গে যখন কুসুম দি’র দেখা হয়, তখন তিনিও আমাকে বলেন, তোমার আগেও এই চরিত্রের জন্য ৬০ থেকে ৭০ জন মেয়েকে দেখেছিলাম, অডিশনে নিয়েছিলাম; কিন্তু তাদের মধ্যে আমি বেলী চরিত্রটি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সব মিলিয়ে, চরিত্রটি আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, এতে আমার বিপরীতে রয়েছেন জিতু আহসান। উনার মতো একজন দারুণ অভিনেতাকে সহশিল্পী হিসেবে পাব, এটা আমার জন্য অনেক বড় একটি অর্জন। আর কুসুম দি’র কাছে আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ। কারণ উনার জন্যই আমার বড় পর্দায় অভিষেক হওয়া।’’
এতে কুসুম-নেহা ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিতু আহসান, ইয়াশ রোহান, নরেশ ভূঁইয়া, শহিদুল আলম সাচ্চু প্রমুখ।