বৃহস্পতিবার ঢাকার কেরানীগঞ্জের গোপপাড় এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার তালেবুর রহমান।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাতে তিনি জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত দশটায় হাজী হোটেল ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আবাসিক হোটেলে ভিকটিম শাখাওয়াত হোসেন শরীফ ও তার স্ত্রী হাজেরা আক্তার ওরফে নুর রাত্রী যাপন করার জন্য বোর্ডার হিসেবে হোটেলের নিচতলার একটি কক্ষ ভাড়া নেয়। দাম্পত্য কলহের জের ধরে ওই রাতে হোটেল কক্ষে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির এক পর্যায়ে স্ত্রী হাজেরা আক্তার হোটেল রুমে থাকা ফল কাটার চাকু দিয়ে তার স্বামী শরীফকে শরীরের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাত করে। যার ফলে তার স্বামী মারা যান। এর পরদিন ভোর পাঁচটার দিকে কৌশলে পালিয়ে যায় হাজেরা।
তালেবুর রহমান বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় হোটেল কর্তৃপক্ষের সংবাদের মাধ্যমে ওই কক্ষ থেকে ভিকটিম শাখাওয়াত হোসেন শরীফের মরদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে শরীফের আত্মীয় স্বজনদের খবর দিলে শরীফের পিতা মো. সাইফুল ইসলাম দক্ষিণখান থানায় ১ অক্টোবর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার পর ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দক্ষিণখান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. নাসিমের নেতৃত্বে দক্ষিণখান থানার একটি বিশেষ টিম গাজীপুর ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মামলা রুজুর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কেরানীগঞ্জ থানার গোপপাড় এলাকা থেকে হত্যাকারী স্ত্রী হাজেরা আক্তার নুরকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি তার স্বামীকে হত্যা সম্পর্কে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা তালেবুর রহমান।