যদিও বাংলা গানের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর। ৯০ দশকে আসিফের সুরে মেতেছেন লক্ষ লক্ষ তরুণ তরুণী। গানের অ্যালবাম থেকে শুরু করে সিনেমায় প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে সবখানেই সফলতার ছাপ ফেলেছেন। এছাড়া সমসাময়িক নানা ইস্যুতে এই গায়ক থেকেছেন সরব। এবার সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সফলতা নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া হয় একটি স্ট্যটাস। সেখানে তিনি লেখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসল সফলতা আসবে ছাত্র ছাত্রীদের সময়মতো বিয়ে করার মাধ্যমেই। আমি ২৪/২৫ বছর বয়সে বিয়ের পক্ষে। এতে সংসার শুরু করা যায় দ্রুত। তারাও বাবা মা হতে পারে, আমরাও দাদা/নানা হতে পারি সুন্দর সময়ে।
আসিফ লেখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসল সফলতা আসবে ছাত্র ছাত্রীদের সময়মত বিয়ে দেয়ার মাধ্যমেই। আমি ২৪/২৫ বছর বয়সে বিয়ের পক্ষে। এতে সংসার শুরু করা যায় দ্রুত। তারাও বাবা মা হতে পারে, আমরাও দাদা/নানা হতে পারি সুন্দর সময়ে। কবে স্টাডি শেষ হবে, তারপর প্রতিষ্ঠা পাবে, তারপর টাকা জমিয়ে বিয়ে করতে হবে! এরমধ্যে চলে যাবে যৌবনের সুন্দর সময়। স্বর্ণের ভরি এখন এক লাখ পয়ত্রিশ হাজার টাকা। অন্যান্য সামাজিকতার খরচ ধরলে কেউ ২৪/২৫ বছর বয়সে বিয়ে করতে পারবে না। সন্তানদের বিয়ের জন্য এগিয়ে আসতে হবে বাবা মাকে।
আন্দোলনে ভূমিকা রাখা বাঘা বাঘা নেতাদের এখনও অবিবাহিত থাকা দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি লেখেন, তাদের এই বয়সে দুই ছেলের বাবা হয়েছি। তাদের উচিত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় তরুনদের বিয়ের জন্য একটা পদ্ধতি তৈরি করা, ব্যাংক ঋণ দিবে এবং সেটা দূরবর্তী সময়ের কিস্তিতে আস্তে আস্তে পরিশোধ করা হবে কোন প্রেশার ছাড়া। আন্দোলনে বিজয়ী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য একটা ফ্রি টিপস দিলাম, এখনই সময়।
এই সঙ্গীত তারকা আরও লেখেন, এদিকে দেখতে দেখতে আমার বড় ছেলে শাফকাত আসিফ এবং শেহরীন ঈশিতার দ্বিতীয় বিয়ে বার্ষিকী পূরণ হয়েছে আজ। দুজনেই কানাডার টরন্টোয় স্টাডিতে আছে। তবে আপাতত দাদা হওয়ার মত কোনো সুখবর নেই। ছেলেকে জিজ্ঞেস করলাম, সে বললো প্ল্যান নাকি আছে। বললাম তোমার জন্মের সময় কোন প্ল্যান আমাদের ছিল না, অথচ দুর্ভাগ্য তোমার কাছ থেকে প্ল্যানের গল্প শুনতে হলো। পরিস্থিতি যাই ঘটুক ২০২৬ সালের শুরুতেই আমার ছোট ছেলে শাফায়াত রুদ্রর বিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ, সেই অপেক্ষায় অস্থির হয়ে আছি। রণ- ঈশিতা তোমাদের বিয়ে বার্ষিকীর শুভেচ্ছা। আনন্দে বাঁচো বাবা।