এ তথ্য নিশ্চিত করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে ফল প্রকাশের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে এ তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত তারিখ জানা যাবে বলে আশা তার।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার থেকে শুরু করে এক দফার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে এবার এইচএসসির সব পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব হয়নি। ১৩টি বিষয়ের মধ্যে কেবল সাতটি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়। পরীক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল করে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। ১৬ জুলাই পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন হয়। তবে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এরইমধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একপর্যায়ে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার।
এ পরিস্থিতিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১১ আগস্ট। তবে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে এক সভায় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে সংক্ষিপ্ত পরিসরে পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হলেও শিক্ষার্থীরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে এসব পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা প্রশাসন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব বিষয়ে এইচএসসি ও সমমানের প্রকৃত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেসব বিষয়ের পরীক্ষার ফল উত্তরপত্র মূল্যায়ন পূর্ণ মানের ভিত্তিতে প্রস্তুত করতে হবে। আর যেসব বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি সেসব বিষয়ের জন্য সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রস্তুত করতে হবে। চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।