যদিও জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতুত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনে একক কোনো নেতৃত্ব চোখে না পড়লেও আন্দোলনে সফলতার পর ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে কারও কারও নাম দাবি করা হচ্ছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সরকারের কর্তাব্যক্তিদের বক্তব্যেও মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উঠে এসেছে কয়েকজনের নাম। বিষয়টি নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে তখন অনেকটা রসিকতার ছলে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ আলোচনায় আনলেন আরেক নাম।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে জুলাই আন্দোলনের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সোহেল তাজ। যদিও তিনি তা বলেছেন ব্যঙ্গার্থে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে দেওয়া এক পোস্টে সোহেল তাজ লেখেন, ‘আজ পত্রিকায় পড়লাম বিএনপির নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভুত্থানের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান। আবার জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, এই গণ-অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব ছাত্র-জনতার, কোনো দলের নয়।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আবার কিছুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এই গণ-অভ্যুত্থানের মাস্টারমাইন্ড হচ্ছেন মাহফুজ। আশ্চর্য হওয়ার কিছুই থাকবে না যদি কয়েকদিন পর শোনা যায়, মাস্টারমাইন্ড হচ্ছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। আমাদের সবার নিশ্চয়ই মনে আছে, বেচারা প্রিন্স চার্লসকে কত বছরই না অপেক্ষা করতে হয়েছিল রাজা হওয়ার জন্য।’