যদিও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই বাংলাদেশ হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিশ্বকাপ চলাকালে এক ক্রিকেটারকে চড় মেরেছেন বলেও অভিযোগ এসেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
সে ঘটনায় তখন কিছু না হলেও এক বছর পর সেই চড়কাণ্ডের অভিযোগেই হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে ক্রিকেটারের সঙ্গে অসদাচারণের কথা উল্লেখ করে বরখাস্ত করেছে বিসিবি। আগের বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন এমন কিছুই হয়নি।আজ মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, মূলত ক্রিকেটারের সঙ্গে অসদাচারণ ও চুক্তির বাইরে অতিরিক্ত ছুটি কাটানোর কারণে চাকরি হারিয়েছেন হাথুরুসিংহে।
২০২৩ বিশ্বকাপে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ছিল হাথুরুসিংহের বিপক্ষে। বোর্ড সভাপতি বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবেও তদন্ত করেছেন, ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন, এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাতে হাথুরুসিংহেকে দোষী মনে হয়েছে তাঁর।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ শেষে একটি গণমাধ্যম এ নিয়ে নিউজ করায় এই ঘটনার তদন্ত চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর মিরপুরে শ্রীলঙ্কান কোচকে এ নিয়ে প্রশ্ন করায় ক্ষেপে বলেছিলেন, ‘যারা আমাকে একটু হলেও জানে, তারা জানে যে এ রকম কিছু করার মতো লোক আমি কিছুতেই নই। আপনাদের মিডিয়ার মান খুবই নিম্ন পর্যায়ের।’
তারপরও এ নিয়ে প্রশ্ন করায় ক্ষোভে ফুঁসে ওঠা বাংলাদেশ কোচের জবাব ছিল, ‘আর ইউ ম্যাড? আমি জানলেই না বলব যে কী ঘটেছিল! যারা সেদিন ওখানে উপস্থিত ছিল, তাদের কাছেই জিজ্ঞেস করে দেখুন না। বুলশিট।’
এরপর মিরপুরে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টের পর গণমাধ্যমে সাবেক বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, ‘আমি জানি না (নাসুমকে চড় মারার ঘটনা)। আমি কোনোদিনই শুনিনি এমন কিছু। একটা টিভিতে প্রচার করার আগে আমি এ ধরনের কোনো কথাই শুনিনি। কিন্তু এখানে বলা হয়েছে, আমি জানি।’
সেদিন সাবেক সভাপতি আরও বলেছিলেন, ‘বলা হয়েছে, আমি গিয়ে আবার কোচকে শাসিয়েছি। আমি আসলে অনুষ্ঠানটা (প্রতিবেদন) দেখিনি। আমি তো জানি এটা ডাহা মিথ্যা (শাসানো), এরপর আর তো আমার কিছু বলার নেই। যে জিনিসটা মিথ্যা (চড় মারা), এটা নিয়ে কথা বলব কেন। সো এরপর আমার তো কিছু বলার নাই।’