শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে সিএসও অ্যালায়েন্সের আয়োজনে ‘নাগরিক সমাজ: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক জাতীয় মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ তথ্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, ‘বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের দায়িত্ব শুধুমাত্র অন্তর্বর্তী সরকারের নয়, এটি আমাদের সবার দায়িত্ব। রাষ্ট্রের সংস্কারের লক্ষ্যে নাগরিক সমাজের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। একই সঙ্গে আমাদের নিজেদেরও পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। সরকার যদি কোনো বিষয়ে ব্যর্থ হয়, তা উল্লেখ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর অবদান রাষ্ট্রের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কমিউনিটি বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে হবে এবং এনজিওদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিজেদের কাজের মূল্যায়ন করা উচিত।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, সিএসও অ্যালায়েন্সের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, ‘বেসরকারি সংস্থাগুলোকে নিজেদের কর্মকাণ্ডে অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে এবং নিজেদের পরিচয় ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।’