নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে গায়ে পড়েছেন জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের জার্সি। হয়েছেন দলের কান্ডারিও। দেশের পতাকা তুলে ধরেছেন বিশ্ব দরবারে।
বলছিলাম বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের আইকন নিগার সুলতানা জ্যোতির কথা। ছোটবেলা থেকেই ছিলেন অন্য ধাচের। ছিলেন বাড়ির অন্য ছেলেদের ক্রিকেট খেলার সঙ্গী। শুরুর দিকে পাঁচ বছরের শিশু জ্যোতির দায়িত্ব ছিলো মূলত বল কুড়িয়ে আনার। কিন্তু তার সেই কুড়িয়ে আনা বল ছোঁড়ার ঢং টা যে আলাদা। যা নজর কাড়ে সবার। আর এভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে চলা।
ক্রিকেটের প্রতি অদম্য আগ্রহ, কঠোর অনুশীলন আর প্রতিকূল পরিবেশকে পেছনে ফেলে সামনে এগুনোর মানসিকতাই তাকে পৌছে দিয়েছে চূড়ান্ত শিখরে। তিনি এখন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক শেরপুরের মেয়ে নিগার সুলতানা জ্যোতি।
শেরপুর শহরের রাজবল্লভপুর মহল্লার মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জ্যোতি। জে আর পাবলিক স্কুলে পড়াশোনার শুরু, প্রাথমিক শেষ করেন নবারুণ পাবলিকে। এরপর শেরপুর সরকারী গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি ও শেরপুর সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইচএসসি। সবশেষ ঢাকা উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী বিভাগে ভর্তি হন অনার্সে ।
বাবা বন বিভাগের কর্মকর্তা সিরাজুল হক জানান, মেয়ে ক্রিকেট খেলায় কতোটা বৈরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের।
এক ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট জ্যোতি। মা সালমা হক ছিলেন তার সকল প্রেরণার উৎস। পাশে ছিলেন বড় ভাইও। জ্যোতির সাফল্যের ছোয়ায় দেশের নারী ক্রিকেট এগিয়ে যাবে বহুদূর এমন প্রত্যাশা সংশ্লিস্টদের।