তার সঙ্গে ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, নাহিদ ইসলাম ও ।
তাদের সঙ্গে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমও।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) গণভবন জাদুঘর পরিদর্শনে যান তারা।
এদিন দুপুরে এক ফাঁকে গণভবনের পুকুরের পাশে বসে ছবিও তোলেন দুই উপদেষ্টা আসিফ, নাহিদ ও মাহফুজ।
আর সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, আসিফ মাহমুদের কাঁধে হাত রেখে হাস্যোজ্জ্বল ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। দুজনে তাকিয়ে আছেন ক্যামেরার লেন্সের দিকে।
এ দুই উপদেষ্টার পাশেই বসে আছেন মাহফুজ আলম। হাসিমুখে অন্য কিছুর দিকে তাকিয়ে তিনি।
ছবিটির ক্যাপশনে রসিকতা করেছেন উপদেষ্টা আসিফ। যা নেটিজেনদের মনে ধরেছে। পোস্টের পর তিন ঘণ্টায় ২ লাখ ২২ হাজারের বেশি রিঅ্যাক্ট জমা পড়েছে। মন্তব্য জমা পড়েছে সাড়ে ১৩ হাজারের বেশি। শেয়ারও হচ্ছে অগণিত।
আসিফ ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এক দুপুরে, হাসিনার পুকুরে…। ’ ওই ক্যাপশনের নিচে বিশেষভাবে লিখেছেন, ‘বি. দ্র. : বড়শি না থাকায় মাছ ধরতে পারিনি। ’
ছবিটির এই ক্যাপশন ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচিত এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের দেওয়া বলে কমেন্ট বক্সে জানিয়েছেন আসিফ।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালানোর এক মাস পর গণভবনকে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। গত ৫ সেপ্টেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সে সময় আসিফ মাহমুদ জানিয়েছিলেন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজটি সম্পন্ন করবে।
সেই কাজেরই অগ্রগতি দেখতে আজ গণভবন জাদুঘর পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি গণভবনে জাদুঘর নির্মাণ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দেন। একইসঙ্গে সেখানে আয়নাঘরের একটি রেপ্লিকা নির্মাণ করতে বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আয়নাঘর, যেখানে হাসিনার কুখ্যাত নিরাপত্তা সংস্থাগুলো গোপনে শত শত ভিন্ন মতাবলম্বী ও বিরোধী কর্মীকে আটক রেখেছিল, তার একটি রেপ্লিকাও গণভবনের জাদুঘরে নির্মাণ করা উচিত। আয়নাঘর দর্শনার্থীদের গোপন বন্দিদের নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেবে।
গণভবন পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আরও ছিলেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।