প্রথমার্ধে কোনো দল গোল না পেলেও বাংলাদেশের রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত রেখেছিলেন সাবিত্রা ভান্ডারি। বক্সে বেশ কিছু বল বাড়িয়েছিলেন তিনি। যা থেকে গোলও পেতে পারত নেপাল যদি তার সতীর্থরা ঠিকমতো সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারত। তবে সেই সুযোগ দেননি বাংলাদেশের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা।
বিরতির পরেই লিড নেয় বাংলাদেশ। ৫২ মিনিটে সাবিনার বাড়ানো বল প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে না পারলে সেই সুযোগ নেন মনিকা। ডান প্রান্ত থেকে নেপালের গোলরক্ষক অঞ্জিলাকে ফাঁকি দেন তিনি। তিন মিনিট পরেই অবশ্য দশরথ স্টেডিয়ামে জন সমুদ্রের গর্জন শুরু হয়। ১৫ হাজারেরও বেশি দর্শককে আনন্দে ভাসান আমিশা।
৫৬ মিনিটে প্রীতি রাইয়ের অবিশ্বাস্য এক পাসে গোলরক্ষক রুপনা চাকমাকে পরাস্ত করেন আমিশা। রক্ষণ চেরা পাসে শুধু বলকে পথ দেখানোই বাকি ছিল। সমতায় ফেরার চতুর্থ মিনিটের মাথায় আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে সাবিত্রা বাঁ প্রান্তের দুরূহ কোণ থেকে যে শট নিলেন তা ডান প্রান্তের গোলবারের বাইরে দিয়ে যায়।
৬৮ মিনিটে নেপালকে বড় বাঁচা বাঁচিয়েছেন অঞ্জিলা। নিশ্চিত গোলকে যেভাবে শূন্যে লাফ দিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করলেন তা এককথায় অবিশ্বাস্য। বক্সের বাইরে থেকে চোখ-ধাঁধানো এক শট নিয়েছিলেন মারিয়া মান্দা। কিন্তু বাঁ প্রান্তে লাফ দিয়ে দারুণ সেভ দিলেন নেপালের গোলরক্ষক। গ্যালারিতে থাকা নেপালের উত্তাল জন সমুদ্রকে থামানোর দুর্দান্ত এক সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ৭৭ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে ঋতুপর্ণা চাকমার ক্রসে ঠিকমতো হেড নিতে পারেননি শামসুন্নাহার জুনিয়র।
তবে ৮১ মিনিটে ঠিকই ১৫ হাজারের বেশি সমর্থককে বাকরুদ্ধ করে দিলেন ঋতুপর্ণা। বাঁ প্রান্ত থেকে প্রায় টাচ লাইন থেকে যে শটটা নিলেন তা এককথায় অবর্ণনীয়। নেপালের গোলরক্ষক শূন্যে লাফ দিয়ে বিশ্বস্ত হাতে বলকে বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করলেও ঋতুর মাপা শটকে হার মানাতে পারেননি। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে পেনাল্টির আবেদন করেছিল নেপাল। তবে ৯০ মিনিটে সাবিত্রার শট যখন মাসুরা পারভিনের হাতে লাগে তখন শরীরের সঙ্গে লেগেছিল তার দুই হাত।