ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বুধবার আসামিদের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়।
শুনানি শেষে হাকিম মো. শরীফুর রহমান ও মো. ইমরান আহম্মেদের পৃথক দুটি আদালত তাদের এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
গ্রেপ্তার দেখানোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার সাবেক পরিচালক মনিরুল ইসলাম, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ।
সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফী, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, বহিষ্কৃত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকেও এদিন গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়া গ্রেপ্তার দেখানোর তালিকায় আছেন সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি শাহরিয়ার কবির, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, সাবেক কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বাড্ডা থানা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার পিন্টু ও পুলিশের সাবেক ডিসি মশিউর রহমান।
এদের মধ্যে আতিকুল ইসলামকে ১৩ মামলায়, আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ১৬ মামলায়, কামাল আহমেদ মজুমদারকে ১২ মামলায়, জুনায়েদ আহমেদ পলককে ১০ মামলায়, আনিসুল হককে ৯ মামলায়, শাজাহান খানকে ৬ মামলায়, সালমান এফ রহমানকে ৪ মামলায়, দিপু মনিকে ৫ মামলায়, রাশেদ খান মেনন ও আব্দুর রাজ্জাককে ৩ মামলায়, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, সাদেক খান, হাজী সেলিম ও জিয়াউল আহসানকে দু’টি করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এছাড়া এদিন বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার ৪ মন্ত্রীসহ ৮ জনের ৪১ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুর রহমান ও মো. ইমরান আহম্মেদের পৃথক দুটি আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করে।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক নৌ ও পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, বহিষ্কৃত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম ও ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।