যদিও ২০২২ থেকে ২০২৪- মাঝে দুই বছরের ব্যবধান থাকলেও সাফল্যের ধারায় ছেদ পড়েনি সাবিনা খাতুনদের। সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দুইবার দক্ষিণ এশিয়ার সেরার মুকুট ধরে রেখেছেন তারা, বাংলাদেশে এনে দিয়েছেন দুটি চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি। এবার সেই সফল দলের জন্য মাথা গোঁজার ঠাঁই চাচ্ছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। । ড. ইউনুসের কাছে নিজেদের জন্য একটি প্লট বা ফ্ল্যাটের দাবি তুলবেন বলে জানিয়েছেন সাবিনা খাতুন।
শুক্রবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) দাড়িয়ে সাবিনা বলেন, ‘মেয়েরা খুবই নিম্মবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছে। কিছু দিন আগে যে বন্যা হয়েছে, সেখানে অনেকের পরিবারের বাসায় পানি উঠে গেছে। সবচাইতে দু:খজনক বিষয় হচ্ছে আমাদের পরিবারের মানুষরা যখন বাড়ি থেকে ঢাকায় আসেন তখন সত্যি বলতে তাদের থাকার কোনও যায়গা থাকে না। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ করবো যেন মেয়েদেরকে কোনও প্লট বা ফ্লাট দিতে পারেন। সেটাই মেয়েদের জন্য সবচাইতে বড় উপহার হবে।’
প্রায় ১৬ দিন নেপালের কাঠমান্ডুর বিলাসবহুল হোটেল সোলটিতে কাটিয়েছেন সাফজয়ী সাবিনা খাতুনরা। সেখানে প্রায়ই দেশি খাবারের স্বাদ থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়েছে তাদের। তাই বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে বাফুফে ভবনে ভর্তা দিয়ে পেটপুরে দেশি খাবারের স্বাদ নেন সাবিনারা, যা তাদের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটায়। সাবিনার মুখেই শুনুন, ‘আজকে (গতকাল) দুপুরে আমরা অনেক রকম ভর্তা দিয় ভাত খেয়েছি। মেয়েরা অনেকদিন দেশের বাইরে ছিল। তাদের চাওয়া ছিল ভর্তা দিয়ে খাবে। তাই আমরা ভর্তা দিয়ে ভাত খেয়েছি। প্রায় ১২-১৪ রকমের ভর্তা ছিল। অনেক দিন পর পেট পুড়ে খেলাম।’
সাফের শিরোপা জিতে এখানেই থামতে চান না সাবিনারা। তাদের লক্ষ্য আরও উঁচুতে, ‘এখন আর পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। এখন সময়ে এসেছে মেয়েদের দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে নিজেদের নিয়ে যাওয়ার। আমার সঙ্গে পাকিস্তানের অধিনায়কের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্ক। সে আমাকে বলেছেন যে তোমরা ইউরোপের ক্লাবে খেলার যোগ্য। তোমাদের মধ্যে অনেক খেলোয়াড় রয়েছে যারা ইউরোপের ক্লাবে খেলার যোগ্যতা রাখে। এই বিষয়ে ফেডারেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। যেন তারা এই বিষয়ের প্রতি নজর রাখে।’