একজন মুমিনের যেকোনো ধরনের বিপদ-আপদ সামনে এলেই বলবে ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’। এ কথা বলা এবং অন্তরে বিশ্বাসের অর্থ হলো ‘আমরা আল্লাহর কর্তৃত্বাধীন’।
আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, সম্পদ ও জীবনের ক্ষতি এবং ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। যখন তারা (এসব) বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তারই সান্নিধ্যে ফিরে যাব। তারা সেসব লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকই হেদায়েত প্রাপ্ত।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৫৫-১৫৭)
উল্লিখিত আয়াতগুলো দিয়ে বোঝা যায়, কারা ইন্নালিল্লাহ পড়বেন, কোনো পরিস্থিতিতে পড়বেন এবং পড়লে কী উপকার হবে। বিপদের এসব মুহূর্তে মুমিন বান্দা সবর করবেন। আর আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলবেন, ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। এর ফলে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনকারী এসব বান্দার প্রতি আল্লাহ অফুরন্ত রহমত ও অনুগ্রহ পাঠাবেন।
উম্মে সালমা (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, মুসলিম যখন কোনো মুসিবতে আক্রান্ত হয় এবং আল্লাহ তাকে যা বলতে বলেছেন তাই বলে, তখন আল্লাহ তাকে ওই মুসিবতের উত্তম বদলা এবং আগের চেয়ে উত্তম বিকল্প দান করেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ৯১৮)