দীর্ঘ বিরতি শেষে ৩ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ শিকারের ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলেরা। যদিও নদীতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও আশানুরূপ ইলিশের দেখা নেই।
তবে ইলিশ না পেলেও জালে বড় বড় পাঙাশ ধরা পড়ছে; আর সেই মাছ বিক্রি করতে পেরে বেজায় খুশি জেলেরা।
মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে পদ্মা-মেঘনাসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে বেশ কিছু ছোট বড় ট্রলার আসে। তবে অধিকাংশই ট্রলারে বড় বড় পাঙাশ দেখা গেছে। ইলিশ না পেলেও জালে পাঙাশ ওঠায় কোনো রকম ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন জেলেরা।
এদিকে নিষেধাজ্ঞার পর মাছঘাটে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে ফিরেছে কর্মব্যস্ততা। ইলিশের পাশাপাশি প্রত্যেকটি আড়তের সামনে রয়েছে বড় বড় পাঙাশ। আর সেই পাঙাশ বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
জেলে সাচিব হোসেন বলেন, “পদ্মা ও মেঘনা নদীতে ইলিশ খুবই কম। তবে ইলিশের গুল্টিজালসহ পাঙাশের আলাদা জাল রয়েছে, সেই জালে বড় বড় সাইজের পাঙাশ উঠছে। ভোর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত চারটি বড় পাঙাশ পেয়েছি।
“সেই পাঙাশ বিক্রি করতে বড় স্টেশন মাছঘাটে নিয়ে এসেছি। বর্তমানে এই মৌসুমটা হচ্ছে, পাঙাশেন মৌসুম, যার কারণে সব জেলের জালে ধরা পড়ছে এটি।”
মাছ কিনতে আসা নূর মোহাম্মদ বলেন, “ইলিশ বিক্রির খবর শুনে মাছঘাটে এসেছি কিন্তু এখানে এসে দেখি প্রত্যেকটি আড়তের সামনে বড় বড় পাঙাশ। নদীর পাঙাস অত্যন্ত সুস্বাদু। চেষ্টা করব ইলিশের পাশাপাশি বড় একটি পাঙাশ কেনার।”
চাঁদপুর মাছঘাটের আড়তদার নবীর হোসেন জানান, মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় পাঙাশের সাইজ বড় হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিনই মাছঘাটে বড় বড় পাঙাশ পাওয়া যাবে। বর্তমানে বড় আকারের পাঙাশের কেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা; আর একটু ছোট আকারের কেজি ৬০০ টাকা।
তবে আন-সিজনে এই আকারের পাঙাশ এক হাজার থেকে এক হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি।