বাইরের খাবার খেয়ে শরীরে মেদ শরীরে জমিয়েছেন। চিন্তা করছেন কিভাবে ঝরাবেন। শরীরচর্চা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছেন না। কিন্তু কাজের চাপে ঘুমোনোর সময়ই নেই, সেখানে ব্যায়াম তো বিলাসিতা।
এবার এক ঢিলে একটি বা দুইটি নয়, একবারে পাঁচটি পাখি মারা যাবে। প্রতিদিন এই ব্যায়াম করলেই পাবেন এই সুযোগ।নিয়মিত জিমে যেতে না পারলেও সাইকেল চালান। গবেষণায় দেখা গেছে সাইকেল চালালে গোটা শরীরের ব্যায়াম হয়।
আবার ক্যানসারের মোকাবিলা করতেও কিন্তু কাজে আসে এই অভ্যাস। প্রতিদিন যদি নাও পারেন সপ্তাহে ১-২ দিন এই অভ্যাস বেশ উপকারী। সাইক্লিং করলে কী কী লাভ হয় তা জানাবো আজকের প্রতিবেদনে।নিয়মিত সাইকেল চালালে অ্যাড্রেনালিন ও এন্ডরফিন হরমোনের মাত্রা ঠিক থাকে।
এই দুইটি হরমোনই মনের জোর, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সাইক্লিং অবসাদ কমাতেও সাহায্য করে।সাইক্লিং করলে হৃৎস্পন্দনের হার বৃদ্ধি পায়। ফলে গোটা শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অফ গ্লাসগোর গবেষকেরা পাঁচ বছর ধরে আড়াই লাখেরও বেশি মানুষের ওপর সমীক্ষা করে জানাচ্ছেন, নিয়মিত সাইক্লিং করলে হার্ট সংক্রান্ত বহু সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আমেরিকার অ্যালপাচিয়ান স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভালো রাখতে সাহায্য করে এই ব্যায়াম। সর্দি-কাশি বা ফুসফুসে সংক্রমণজনিত সমস্যা নিরাময়ে সাইক্লিং অব্যর্থ একটি ব্যায়াম।ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিবারাত্রি মাথার ঘাম পায়ে ফেলেন। টাকা খরচ করে জিমে ভর্তি হন অনেকেই। তবে কম খরচে ক্যালোরি ঝরানোর সবচেয়ে ভালো পন্থা হলো সাইকেল চালানো।
শুধু মেদ ঝরানোই নয়, দেহের পেশিগুলোকে সচল রাখতে হলে নিয়মিত সাইকেল চালানোই যায়। পেট, কোমরের মেদ নিয়ে সকলে যত চিন্তা করেন, পা নিয়ে তত ভাবেন না। এই একটি ব্যায়ামেই পদযুগল ‘টোনড’ হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র : টিভি৯ বাংলা