সে তো হায় মৃদু পায় এসেছিল, পারিনি তো জানতে।
লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া বিখ্যাত এই গানটির যেন হয়েছে এক দৈন্য দশা। প্রিয় ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়ে যারা দেবদাস হয়ে বসে থাকে তাদেরকে যেন কিছুটা সাহস জোগালেন ঢাকাই সিনেমার আলোচনা-সমালোচিত নায়িকা পরিমণি।
একের পর এক সম্পর্কে জড়িয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য ভূবনে। আরও একবার প্রেমে পড়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছোট্ট একটি ভিডিওক্লিপে নিজের নতুন ভালোবাসার কথা জানান দিয়েছেন তিনি।
ভিডিওটিতে দেখা গেছে, চলন্ত গাড়িতে কারো হাতের ওপর হাত রেখেছেন পরিমণি। যদিও পাশে থাকা মানুষটিকে প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। নিজের শেয়ার করা ভিডিওতে পরী লিখেছেন, “হ্যাঁ! আমি আবারও প্রেমে পড়েছি।”
চলতি বছরের শুরুতে পরীমণি জানিয়েছিলেন, তার পক্ষে আর নতুন করে সম্পর্কে জড়ানো সম্ভব না। জীবনে যা সহ্য করেছেন তারপর আর কারও সঙ্গে তিনি সম্পর্কে নিজেকে বাঁধবেন না।
অভিনেতা শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর যখন নতুন করে জীবনে বাঁচা শুরু করলেন পরী, তখন তিনি ধারাবাহিকভাবেই জানিয়েছিলেন যে ছেলে এবং মেয়ে তার দুটি ডানা। নতুন করে আর সম্পর্কে জড়াবেন না। কিন্তু সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো বহমান যে প্রেম তা কি আর কোন বাঁধা মানে! ঐ যে অখিলবন্ধু ঘোষ বলেছিলেন,
যেন কিছু মনে করো না কেউ যদি কিছু বলে,
কত কি যে সয়ে যেতে হয়, ভালোবাসা হলে
পরি যেন এই গানটিকেই আদর্শ হিসেবে ধরে নিয়েছেন। পরির পোস্ট করা সেই ভিডিওতে শুভাকাঙ্খী-সহকর্মীরা জানিয়েছেন শুভেচ্ছা বার্তা। কেউ লিখেছেন, ‘পরীরা উঠতে বসতে প্রেমে পড়ে।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘এইবার আর ভুল করো না। আশা করছি সঠিক মানুষকে বেছে নিয়েছো।’
যদিও সেই মন্তব্যের কোন প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেননি পরীমণি। তিনি আপাতত সন্তান ও নতুন সম্পর্ক নিয়েই বেশ সুখে আছেন।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন আগে চিত্রনায়ক শরিফুল রাজকে ঘটা করে বিয়ে করেছিলেন পরীমণি। টেকেনি সেই সংসার। তারপর থেকে দুই সন্তান নিয়ে সিঙ্গেল মাদার হিসেবেই জীবন কাটাচ্ছেন পরিমণি।