সোমবার (১৮ নভেম্বর) নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত পোস্টে এই ঘোষণা দেন ট্রাম্প। রক্ষণশীল গ্রুপ জুডিশিয়াল ওয়াচের সভাপতি টম ফিটনের এক লেখার জবাবে এই পোস্টটি করেন তিনি।
গত ৮ নভেম্বর টম ফিটন লিখেন, যুক্তরাষ্ট্রের হবু ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা গণহারে অভিবাসী বিতাড়নের প্রচেষ্টায় জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা এবং সামরিক সম্পদ ব্যবহার করতে প্রস্তুত। এই পোস্টের জবাবে ট্রাম্প লেখেন, ‘সত্যি!!!’
যুক্তরাষ্ট্রের বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের গণহারে দেশ ছাড়া করতে ট্রাম্পের তরফ থেকে দেয়া সতর্কবার্তার মধ্যে গতকালের এই বিবৃতিটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর। এর মাধ্যমে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নির্বাসন অভিযান চালানোর পরিকল্পনার কথা জানালেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।
তবে ট্রাম্পের এই উদ্যোগ মানবাধিকারকর্মীদের নিন্দার মুখে পড়েছে। একই সঙ্গে এর বাস্তবায়নযোগ্যতা ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের ক্ষমতার সীমা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে যেভাবেই সামনে অগ্রসর হন না কেন রিপাবলিকান নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট নিশ্চিতভাবেই অনেক আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো অ্যারন রেইখলিন-মেলনিক সোমবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে প্রেসিডেন্টরা নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে এবং জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন। আর ‘সামরিক বাহিনী ব্যবহার করে বিতাড়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা’ সেই নির্দিষ্ট বিষয়গুলোর মধ্যে পড়ে না।