পুলিশের ভাষ্যমতে, অভিযুক্ত রাহুল অন্তত পাঁচজনকে হত্যা করেছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এসব হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির টার্গেট ছিল বিভিন্ন ট্রেনের নারী যাত্রী।
রাহুল করমবীর জাঠকে গত ২৪ নভেম্বর গুজরাটের ভালসাড় জেলার ভাপি রেলওয়ে স্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই অভিযানে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ ইউনিট অংশ নেয়। এর আগে গুজরাটের বেশ কয়েকটি জেলার প্রায় ২ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, রাহুল যখনই কাউকে একা পেতেন, তখনই তার সর্বস্ব লুটে নিয়ে হত্যা করতেন। এই কাজ তিনি করতেন শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য ট্রেনের নির্ধারিত কোচে এবং তার লক্ষ্যবস্তু ছিল নারীরা।
পুলিশ জানায়, গুজরাটে তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যা ছাড়াও আরও চারটি হত্যাকাণ্ড ঘটায় রাহুল করমবীর। গ্রেপ্তারের মাত্র এক দিন আগে সে তেলেঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদ রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি ট্রেনে এক নারীকে হত্যা করে।
এর কিছুদিন আগে মহারাষ্ট্রের শোলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি ট্রেনে এক নারীকে ধর্ষণ ও হত্যা করে। পরে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া রেলওয়ে স্টেশনের কাছে কাটিহার এক্সপ্রেসে এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এ ছাড়া কর্ণাটকের মুল্কি এলাকায় একটি ট্রেনে এক যাত্রীকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে এক বছর আগে রাজস্থানের যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পায় রাহুল। একটি ডাকাতির মামলায় কারাগারে ছিলেন তিনি। রাহুল করমবীরের বিরুদ্ধে ১৩টি এফআইআর দায়ের রয়েছে।