এবার কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে অভিযানকালে এক কিশোরকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, কিশোরটির বাবা ও তার এক সহযোগীকে আটক করতে গেলে তারা পালিয়ে যান। পরে কিশোরকে আটক করা হয়। এসময় তার একটি শপিং ব্যাগে বিদেশি পিস্তল, গুলি, কার্তুজ পাওয়া যায়।
গতকাল বৃস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দরগাহ পাড়া থেকে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ওই কিশোরকে আটক করা হয়।তবে এক সংবাদ সম্মেলনে কিশোরটির পরিবার দাবি করেছে, বাবাকে না পেয়ে ওই কিশোরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) হ্নীলা ইউনিয়নের দরগাহতে এক সব সংবাদ সম্মেলনে সফিদা নামে এক নারী দাবি করেন, রাতে ওই কিশোরকে ঘর থেকে ধরে তার ঘরে আনা হয়। তারপর তার ঘরের আলমারি থেকে কতগুলো অস্ত্র বের করে উদ্ধার দেখায় পুলিশ।
তার দাবি, নিজেও জানেন না আলমারিতে অস্ত্র আছে। এটি ষড়যন্ত্র।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আটক কিশোরটির পরিবারও। তাদের প্রশ্ন, বাবা যদি পুলিশের চোখে অপরাধী হয়, সন্তানকে এভাবে আটক করতে হবে কেন!এদিকে তৌসিফুল করিম রাফির স্কুল শিক্ষকরা জানান, তাদের ছাত্র রাফি খুবই মেধাবী।
সে ২০২১ সালে হ্নীলা প্রি-ক্যাডেট স্কুল থেকে চতুর্থ শ্রেণিতে ড. গাজী কামরুল ইসলাম বৃত্তি লাভ করে। ২০২১ সালে চতুর্থ শ্রেণিতে হ্নীলা একাডেমি বৃত্তি ও ২০২২ সালে ৫ম শ্রেণিতে জি এইফ এইচ বৃত্তি পায়।এদিকে টেকনাফ থানার পুলিশ এক বার্তায় জানিয়েছে, হ্নীলা ইউনিয়নের দরগাহ পাড়ার নুরুল আমিনের বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুজন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় সংঘাতে জড়িয়ে পড়ায় ওই কিশোরকে আটক করা হয়। এসময় তার হাতে থাকা একটি ব্যাগ থেকে বিদেশি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, চল্লিশ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, বাবার নির্দেশে অস্ত্রগুলো তার হেফাজতে রাখে। পরে এসআই বদিউল আলমের এজাহারের ভিত্তিতে টেকনাফ থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।