শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ‘বিশ্ব মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার দিবস’ পালন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।
বিদেশে প্রশিক্ষণ নিতে যাওয়া চিকিৎসকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, দুই থেকে তিন দিনের প্রশিক্ষণে ভালোভাবে শেখার সুযোগ নেই। তাই সাত দিন বা লম্বা সময় ধরে প্রশিক্ষণের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু ৪০ জনেরও বেশি সংখ্যক ডাক্তার দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ বা উচ্চতর ডিগ্রি নিতে গিয়ে আর ফেরত আসেননি। তাদের কয়েকবার চিঠি দিয়েও কাজ হয়নি। দরিদ্র দেশের এই অপচয় কীভাবে ঠেকাবেন?
তিনি বলেন, তাদের কয়েকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। তবুও কাজ হয়নি। তাই দেশে ফেরার শর্ত সাপেক্ষে বিদেশে প্রশিক্ষণ নিতে বা উচ্চতর শিক্ষার জন্য যেতে পারবেন ডাক্তাররা।
এসময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমি খুব আশ্বস্ত এবং গর্বিত যে আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার আগেই কোভিড চলাকালীন পরিস্থিতিতে আমাদের ডাক্তার, নার্স, টেকনোলজিস্টরা কীভাবে দেশেই চিকিৎসা সেবা দিতে হয় তা দেখিয়েছেন। কাউকে দেশের বাইরে যেতে হয় নাই। সবাই দেশে চিকিৎসাটা পেয়েছে। এই ধরনের মহাদুর্যোগগুলো যদি তারা সামলে নিতে পারেন, আশা করা যায় বাকি দুর্যোগগুলো তারা সামাল দিতে পারবেন।
দেশে ওষুধের দাম দিন দিন বাড়ছে জানিয়ে নূরজাহান বেগম বলেন, মহামারি বা দুর্যোগকালে কাউকে চিকিৎসা নিতে দেশের বাইরে যেতে হয়নি। দেশেই সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে দেশের স্বাস্থ্য খাত।
এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমায় এনে ওষুধের মূল্য নির্ধারণের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।