রুমিন ফারহানা বলেন, “বাংলাদেশে এখন দুর্যোগের ঘনঘটা চলছে। কেউ যদি মনে করেন যে, ৫ আগস্টের পরে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে, তবে এটি ভুল ধারণা। বরং পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।”তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সবসময় এক সুরে কথা বলে। শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয়ের সময় দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো একত্রিত হয়ে তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এটি ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বার্থ রক্ষার উদাহরণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রুমিন ফারহানা বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। তিনি বলেন, “ভারতীয় টেলিভিশনগুলো বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য ছড়াচ্ছে। তারা ইংরেজি মাধ্যমে তাদের বার্তা ইউরোপ ও আমেরিকায় ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের দেশে এমন কোনো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মিডিয়া না থাকায় আমরা পিছিয়ে রয়েছি।”
রুমিন ফারহানা আরও বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র রক্ষায় সব রাজনৈতিক দলকে এক প্ল্যাটফর্মে আসতে হবে। বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বর্তমান সরকারের কিছু কূটনৈতিক সাফল্যের কথাও স্বীকার করেন। রুমিন বলেন, “এই সরকার আসার পর আমরা ভারতের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছি। প্রণয় ভার্মাকে কল করতে পারছি এবং সারা কুক’কে ডেকে সত্য প্রকাশে বাধ্য করতে পারছি।”
রুমিন ফারহানা জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।” তার বক্তব্য বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।